বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: কাঠের স্যানিটারিংয়ের কাজ করতে যাওয়ার নাম করে মাস খানেক আগে মহারাষ্ট্রের পুণেতে গিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার বাজিতপুর গ্রামের শরিয়ত মণ্ডল (১৯)। অথচ সেখানে বিহারের এটিএস তাকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনছেন শরিয়তের বাবা মা। তবে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নদিয়ার জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার শনিবার বিকেলে জানিয়েছেন, “আমিও শুনেছি বিষয়টা। তবে আমাদের সঙ্গে কেউ এখনও যোগাযোগ করেনি বা আমাদের কাছে তেমন কোন খবরও এসে পৌঁছায়নি।”
নদিয়ার হাঁসখালি থানার বাজিতপুর গ্রামের একটি ছোট্ট ঘরেই শরিয়তের বাস। বাড়িতে রয়েছে তার বাবা আনারুল হক মণ্ডল, মা মাজেদা বিবি ও তিন বোন। ভাইয়ের মধ্যে শরিয়ত একা। কোনওরকমে তার এক দিদির বিয়ে হয়েছে। বাকি দুই বোন এখনও অবিবাহিত। দিন দুই আগে পুলিশের হাতে ছেলের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়েছেন শরিয়তের বাবা-মা। কী কারণে গ্রেপ্তার করা হল তার ছেলেকে, তা বুঝেই উঠতে পারছেন না শরিয়তের বাবা ও মা। তাঁদের ছেলের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকতে পারে, তা তারা বিশ্বাস করতে নারাজ। শরিয়তের মা মাজেদা বিবি বলেছেন, “ওর বাবা সামান্য চাষবাসের কাজ করেন। তাতে সংসারের অভাব মেটে না। তাই ছেলেকে জোর করে আমরা কাজে পাঠাতাম। ও বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকত। মাসখানেক হল মহারাষ্ট্রের পুণেতে ও কাজে গিয়েছিল। এরপর খবর পেলাম পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু কী দোষ করেছে ও, তা এখনও পর্যন্ত আমরা কিছুই জানি না। কীভাবে আমার ছেলেকে ছাড়াব, তাও বুঝতে পারছি না।”
[ আরও পড়ুন: ভোট সচেতনতায় জলযান, নৌবিহারেই শেখানো হল ভিভিপ্যাটের ব্যবহার ]
শরিয়তকে বিহারের পুলিশ পুণেতে গ্রেপ্তার করেছে, ইতিমধ্যেই কানাঘুষোয় সেই খবর জেনে গিয়েছেন এলাকার অনেকেই। তাঁরা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তাদেরই পরিচিত শরিয়তের সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকতে পারে। তাদের কেউ কেউ বলছেন, “ওকে দেখে তো সেটা কখনওই মনে হত না। ও তো শান্ত একটি ছেলে। কোনওদিন কোনও খারাপ কিছু দেখিনি শরিয়তের।”
ছবি: সুজিত মণ্ডল
[ আরও পড়ুন: বারাকপুর কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরে অন্তর্কলহ, ভাইরাল মুকুল-দিলীপ অনুগামীদের হাতাহাতি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.