ছবি: প্রতীকী
আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ভাইফোঁটার রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে দাদার সামনেই আক্রান্ত বোন। মদ্যপ যুবকের দল ওই নাবালিকাকে প্রথমে কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। দাদা বাবাই মণ্ডল ঘটনার প্রতিবাদ করতেই তাঁর উপরে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। বেধড়ক মারধর করে। তারপর দাদা, বউদি ও মাসির সামনেই নাবালিকাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কোনওরকমে নিজেকে রক্ষা করে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এরপর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গানগর স্টেশন লাগোয়া পাওয়ার হাউস এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আটটার কিছু পরে দাদা, বউদি ও মাসির সঙ্গে ঠাকুর দেখে ফিরছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। দুর্গানগর স্টেশন লাগোয়া পাওয়ার হাউসের কাছাকাছি এলে বেশ কয়েকজন মদ্যপ যুবক নাবালিকাকে দেখে কটূক্তি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন দাদা বাবাই মণ্ডল। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে বোনকে ছেড়ে দাদার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্তরা। বেধড়ক মারধর করা হয়। এরমধ্যেই মদ্যপদের মধ্যে একদল ওই নাবালিকাকে টানতে টানতে কাছের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই দেখেই চিৎকার শুরু করেন বউদি। মদ্যপের দল তখন বউদিকেও মারধর করে। বাড়ির বউকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন মাসি বুড়ি মণ্ডল। দাদা ও বউদিকে ছুরি উঁচিয়ে, পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের চেঁচামেচিতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে গেলে মদ্যপ যুবকের দল পালিয়ে যায়।
এরপরই নিমতা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা। তবে রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্টেশন লাগোয়া রেললাইনে মদ্যপদের তাণ্ডব দিনদিন বাড়ছে। ওই এলাকায় নানারকম অসামাজিক কাজকর্মও চলে। পুলিশ গোটা বিষয়টি জানলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে থানার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
[জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য বাঁচলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.