দেবাদৃতা মণ্ডল, চুঁচুড়া: হুগলির পাণ্ডুয়ায় প্রাণ দিয়ে প্রেমের মাশুল দিলেন যুবক। প্রেমিকার বাড়ির লোকদের বেধড়ক মারে বেঘোরে মরতে হল তাঁকে। এদিকে ঘটনার পর জনরোষের মুখে থানায় গিয়ে ওই যুবকের প্রেমিকার বাবা আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃত যুবকের নাম এমজি মিরাজ। বাড়ি পাণ্ডুয়ার মহাদেবপুরে গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকারই একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিরাজের। কিন্তু তিনি কিছু করতেন না। তার উপর নিয়মিত মদ্যপানেরও অভ্যাস ছিল। তাই মিরাজের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না তাঁর প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা। দিন কয়েক আগে ওই তরুণীর অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়। এই ঘটনাটি মেনে নিতে পারেননি মিরাজ। প্রেমিকার বিয়ে রুখতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পাশের পাড়ায় প্রেমিকার বাড়িতে যান মিরাজ। বাড়ির লোকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যখন প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখনও মিরাজ মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথমে মিরাজকে তেমন পাত্তা দেননি ওই তরুণীর বাড়ির লোকেরা। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় তিনি চিৎকার করতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তাঁর প্রেমিকার বাবা ও পরিবারের লোকেরা। মারের চোটে একসময়ে লুটিয়ে পড়েন মিরাজ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে মিরাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাণ্ডুয়ার মহাদেবপুরে। অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাপের মুখে শেষপর্যন্ত পাণ্ডুয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে মিরাজের প্রেমিকার বাবা।
দিন কয়েক আগে নদিয়ার তেহট্টে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনা বসেছিলেন এক যুবক। তাঁর অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকলেও এখন তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রেমিকা। এমনকী, সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন ওই যুবতী। কিন্তু ধরনায় বসে কোনও লাভ তো হয়েইনি, উলটে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে তাঁর প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা। গুরুতর আহত ওই যুবককে ভরতি করতে হয় হাসপাতালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.