নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখ ছিল না। স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন যুবক৷ তাই শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সামনে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী স্বামী। ঘটনাস্থল থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহর পেট্রাপোলে।
মৃতের নাম সুরঞ্জন মালাকার ওরফে গোবিন্দ। বাড়ি পেট্রাপোলের ছয়ঘরিয়া জোড়া মন্দির বটতলা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে বাড়ির অমতে পাশের পাড়ার তরুণী সৌমিকা ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেন সুরঞ্জন। আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল সৌমিকার। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আগের শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর সুরঞ্জনের সঙ্গে ছয়ঘরিয়া গির্জাপাড়ায় বাপের বাড়িতে থাকতেন সৌমিকা। সুরঞ্জন ও সৌমিকার ছেলের বয়স সাড়ে তিন বছর। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য সুখের ছিল না।
জানা গিয়েছে, সুরঞ্জন সন্দেহ করতেন যে, সৌমিকা অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সুরঞ্জন। কিছুক্ষণ পর স্বামীর চিৎকার শুনে যখন ঘরে যান, তখন সৌমিকার সামনেই মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। যদিও মৃতের স্ত্রীর দাবি, নিজের পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগতেন সুরঞ্জন। রোজ রাতে আকণ্ঠ মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তিও হত। ঘটনার সময়ে তাঁকে ভয় দেখাতে গিয়েই অসাবধানতায় পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিয়ে ফেলেন সুরঞ্জন। গুলি লেগে যায় মাথায়। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুরঞ্জন মালাকারকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুন করার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, সুরঞ্জন অত্যন্ত সরল প্রকৃতির। তাঁকে ফাঁদে ফেলেই বিয়ে করেছিলেন সৌমিকা। শ্বশুরবাড়ি লোকেরাই জামাইকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ৷ এমনকী, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সমস্যার কথা সুরঞ্জন বন্ধুদেরও জানিয়েছিলেন বলে খবর। তবে থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.