আনন্দ সাহা: দাদার দোষ ছিল একটাই। বোনের শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন। বোনের সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর বোনের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দাদার হাত কাটল যুবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার পুরন্দরপুর নদীর ঘাটে ধামালিপাড়া গ্রামে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই জাহাঙ্গির আলমের মাসির মেয়েকে বিরক্ত করত মহিদুল সেখ নামে ওই গ্রামেরই এক যুবক। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন জাহাঙ্গির আলম। সেই প্রতিবাদের জেরে এদিন বিকেলে মহিদুল সেখের সাথে বচসা হয় জাহাঙ্গির আলমের। এদিন বাইকে করে কান্দি ফিরছিলেন জাহাঙ্গির। সেই সময়ই পুরন্দরপুরের কাছে মহিদুল তার পথ আটকায়। বচসার সময় রাস্তা ধারে পরে থাকা একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গিরের ডান হাতে আঘাত করে মহিদুল। জাহাঙ্গিরের ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় সে। গুরুতর জখম অবস্থায় জাহাঙ্গির আলমকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মহিদুল সেখ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.