টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ। এক বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি। সাতজনকে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কুড়ি বছর কারাদণ্ড দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে নিজেকে কার্যত গৃহবন্দি করে রেখেছে নির্যাতিতা। সে মানসিক অবসাদে ভুগছে বলে জানা গিয়েছে।
[আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধি, রাজ্য বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর]
২০১৭ সালে ১ ফ্রেব্রুয়ারি। সরস্বতী পুজোর দিন রাতে বন্ধুর সঙ্গে স্কুটিতে চেপে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। বাঁকুড়া শহরের গোরাবাজার এলাকায় ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুর উপর চড়াও হয় সাতজন দুষ্কৃতী। বন্ধুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্কুলছাত্রীটিকে রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় তারা। রাতের অন্ধকারে ফাঁকা মাঠে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। তদন্তকারী জানিয়েছেন, গণধর্ষণের পর ওই তরুণীর বন্ধুকে ছেড়ে দেয় দুষ্কতীরা। ওই যুবকই খবর পাঠান নির্যাতিতার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে আনেন ওই তরুণীর বাবা-মা। কিন্তু, থানায় অভিযোগ দায়ের করা তো দূর অস্ত, লোকলজ্জায় প্রথমে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও রাজি ছিলেন না বাড়ির লোকেরা। কিন্তু, মেয়ের অবস্থা দেখে রুখে দাঁড়ান নির্যাতিতার মা। তাঁর উদ্যোগে ঘটনার পরের দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। ওই তরুণীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করে।
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের তদন্তে নেমে আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। নিয়মমাফিক তার বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা চলছিল বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে। এক বছর শুনানির চলার পর, সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দোষীদের ২০ বছরের কারাদণ্ড দিলেন বাঁকু়ড়া জেলা আদালতের বিচারক অপূর্ব সিনহা রায়। তবে আদালতের রায়ে স্বস্তি পেলেও, খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবার। আরও কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
[ সমানে সমানে টক্কর সিবিআই-রাজ্য পুলিশের, হাই কোর্টে পালটা আবেদন রাজীব কুমারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.