ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ (Herd immunity) বা গোষ্ঠীগতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার বিষয়টি অনৈতিক তো বটেই। এটি আদৌ বিজ্ঞানসম্মতও নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডিরেক্টর টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস বুধবার এমনটাই জানালেন। তাঁর মতে, অতিমারীর সঙ্গে লড়তে হার্ড ইমিউনিটি কোনও ন্যায়সঙ্গত কৌশল হতে পারে না। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, রোগ ছড়িয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির ধারণা নিয়ে কয়েকবার আলোচনা হয়েছে মাত্র। এটা নিয়ে না ভেবে মানুষকে সচেতন করে তোলা, সংক্রমণ চিহ্নিত হলে তাঁদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা ইত্যাদির উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
হার্ড ইমিউনিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ধারণা যা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যার দ্বারা একটি জনগোষ্ঠীকে কোনও নির্দিষ্ট ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। তাঁর কথায়, ‘‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায় হামের ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি গড়তে ৯৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। বাকি ৫ শতাংশ হাম থেকে সুরক্ষিত থাকবে কেননা যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হল তাঁদের থেকে ওঁদের সংক্রমিত কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। পোলিওর ক্ষেত্রে এটা ৮০ শতাংশ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সুতরাং হার্ড ইমিউনিটি মানুষকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচিয়েই অর্জন করা সম্ভব। তাঁদের ভাইরাসের সংস্পর্শে রেখে নয়।’’ হার্ড ইমিউনিটির ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়ে ঘেব্রিয়েসুস বলেন, ‘‘কখনওই কোনও সংক্রমণ রুখতে হার্ড ইমিউনিটিকে ব্যবহার করা হয় না। এটা বিজ্ঞানসম্মত নয়, এবং নৈতিক দিক থেকেও ভুল।’’
মঙ্গলবার ঘেব্রিয়েসুস জানিয়েছিলেন, কবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আসবে, তার জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। আপাতত হাতে যা চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তাই দিয়েই মানুষকে বাঁচাতে হবে করোনার প্রকোপ থেকে। তিনি বলেন, ‘‘যখনই কোনও ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকরী বলে প্রমাণিত হবে তখনই তা সমস্ত দেশে সমান ভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আমরা কেবল ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে পারি না। হাতে যা আছে তাই দিয়েই প্রাণ বাঁচাতে হবে।’’ কিন্তু সেই বক্তব্য থেকে এবার নিজেই সরে এলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.