অভিরূপ দাস: মৃত্যুর কারণ করোনা (CoronaVirus)। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সমস্যা মৃত্যুর তারিখ নিয়ে। পরিবারের দাবি, গত ২৯ আগস্ট মারা গিয়েছেন ৫৫ বছরের শবর আলি। শুধুমাত্র বিল বাড়ানোর জন্য পরিবারকে দু’দিন পরে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে নার্সিংহোমের তরফে। অন্যদিকে, তিলজলা রোডের স্বস্তিক সেবাসদন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, শবর আলি মারা গিয়েছেন ৩১ আগস্ট রাতে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার, তবে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে উত্তর ২৪ পরগনার ছবিটা]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জ্বর শবর আলির। প্রথমে তাঁকে কমলা রায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু জ্বর কমছিল না। বাধ্য হয়েই গত ২৫ আগস্ট রোগীকে তিলজলা রোডের স্বস্তিক সেবাসদন নার্সিংহোমে আনা হয়। ওইদিনই তার কোভিড (COVID-19) টেস্ট হয়। পরের দিন কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসাতে তড়িঘড়ি রোগীকে কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে, রোগীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। সে কথা পরিবারের লোকেদের ২৫ তারিখই জানানো হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবারের লোকেদের সে সময় “হাই রিস্ক বন্ড”-এ সই করানো হয়। বলা হয়েছিল, রোগীর হার্টের অবস্থা এতই খারাপ যে কোনও সময় খারাপ কিছু ঘটতেই পারে। নার্সিংহোমের রেকর্ড অনুযায়ী ৩১ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় রোগীর। সে কথা রোগীর পরিবারকে জানাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, শবর আলির মৃত্যু হয়েছে ২৯ আগস্ট। শুধু বিল বাড়াতে দু’দিন মৃতদেহ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলার নিবাসী শবর আলির পরিবার। সমস্যার সমাধান করতে দেহ পাঠানো হয়েছে নীলরতন সরকার হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক তারিখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.