ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসক্রিমেও (Ice Cream) করোনা! গল্প মনে হতেই পারে। কিন্তু এমনটাই বাস্তবে ঘটেছে চিনে (China)। একটা নয়, পরপর তিনটি ‘সংক্রমিত’ আইসক্রিমের হদিশ মিলেছে উত্তর চিনে। আর এই ঘটনাতে স্বাভাবিকভাবে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারা কারা ওই আইসক্রিমের সংস্পর্শে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখছে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তিয়ানজিন ডাকাইওয়াডাও সংস্থার তৈরি আইসক্রিমে মিলেছে করোনা ভাইরাসের হদিশ। জানা গিয়েছে, সংস্থাটি সম্প্রতি ৪ হাজার ৮৩৬ বাক্স আইসক্রিম বানিয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ আইসক্রিম বিক্রিও হয়ে গিয়েছে। বাকি ২ হাজারটি বাক্স সিল করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাজারে আইসক্রিমের যে ৬৫টি বাক্স পাঠানো হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে থেকে ৩টি আইসক্রিমে করোনার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা ওই বাক্স থেকে আইসক্রিম কিনেছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডেকেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কিন্তু কীভাবে জানা গেল আইসক্রিমে করোনা আছে? মানবদেহ ছাড়া আর কোথাও করোনা জীবিত থাকতে পারে কিনা তার খোঁজ করছে চিনের প্রশাসন। সেই উদ্দেশ্যে স্থানীয় বাজার থেকে বিভিন্ন সামগ্রী পরীক্ষাগার পাঠানো হচ্ছে। এই কাজ করতে গিয়েই আইসক্রিমে করোনার হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বাক্সে ৬টি করে আইসক্রিম ছিল। আর এগুলি ইউক্রেন এবং নিউজিল্যান্ড থেকে আনা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই কাঁচামাল আমদানি করার সময় তাতেই ভাইরাস লুকিয়ে ছিল।
এই ঘটনা সম্পর্কে লিড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ডক্টর স্টিফেন গ্রিফিনস জানিয়ছেন, তৈরি বা বাক্স প্যাকিংয়ের সময় অজান্তেই কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে করোনা সংক্রমিত হয়েছে আইসক্রিমগুলি। আর এই ক্রিমের তাপমাত্রা কম হওয়ায় এবং অতিরিক্ত ফ্যাট থাকায় ভাইরাসটি এতদিন সজীব থাকতে পেরেছে। আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থার ১৬০০ কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ৭০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। ফলে ওই আইসক্রিম কীভাবে সংক্রমিত হল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, দুটি-তিনটি আইসক্রিমে করোনা মিলেছে মানে এই নয় যে সমস্ত আইসক্রিম করোনা সংক্রমিত হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.