সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাততালি! বাহবা! দর্শকের বিস্ফারিত চোখ! ম্যাজিশিয়ান রাজু মোহর, যিনি পরিচিত ‘আরজে সম্রাট জাদুকর’ নামে, তাঁকে এসব অনুভূতির সঙ্গেই ঘর করতে হত গত ১৫ বছর ধরে। অসংখ্য স্টেজ শো করেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এমনও হয়েছে, একদিনে ৮-১০টা শো-ও করেছেন। কিন্তু লকডাউনে ৩৮ বছরের এই ম্যাজিশিয়ানের জাদুর কদর আর নেই। মানুষ তাঁর ম্যাজিক না দেখলে উপার্জনই বা হবে কোত্থেকে! ফলে এখন তিনি সাধারণ একজন সবজি বিক্রেতা।
জানিয়েছেন, “করোনা ভাইরাস আমার উপার্জনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। জনা বারোর বেশি লোক যারা আমার সঙ্গে কাজ করে, তারা এখন গৃহবন্দি। আমাকে ঘরভাড়া দিতে হবে, সংসারও চালাতেও হবে। ভেবে দেখলাম সবজি বিক্রি ছাড়া এই মুহূর্তে দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই। ঈশ্বরই জানেন এসব কবে ঠিক হবে, কবে আবার লোকজন ম্যাজিক দেখার জন্য ভিড় করবে। তবে আশা করছি, সুসময় তাড়াতাড়িই আসবে।”
লকডাউনের জেরে পেশা বদলেছেন অনেকেই। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই গোয়ার বুকিরাও। গোয়াতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও মটকা বুকিদের দৌরাত্ম্য ভালরকমই দেখা যায়। মটকা নগদে বেটিংয়ের খেলা। প্রতিদিন কম করে ১০-১২ কোটির টার্নওভার রয়েছে এই বেআইনি ব্যবসায়। জড়িয়ে প্রায় ১০ হাজারের মতো বুকি। এই লকডাউনের দিনগুলোয় সেই বুকিদের দেখা গিয়েছে ফল বিক্রি করতে। কেউ বিক্রি করছেন ডিমও। জানা গিয়েছে, ২২ মার্চ জনতা কারফিউয়ের দিন থেকেই মটকা ব্যবসা থমকে। লোকজন তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেটিং করতে এগিয়ে আসছেন না। এদিকে বুকিদের পক্ষেও সদর দরজায় পৌঁছনো অসম্ভব। অনলাইন বেটিঁংও এক্ষেত্রে সম্ভব নয়, খেলাটা যেহেতু নগদ বিনিময়ে। একজন বুকি জানিয়েছেন, “এখানকার লোকজন আমার চেনাপরিচিত। তাঁরা আমার কাছ থেকেই ফলমূল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কাজে তো ঝঞ্ঝাটও কম। শুধুমাত্র বাড়িওয়ালাকে জায়গার জন্য ভাড়া দিতে হয়।”
সদ্য ডিম-বিক্রেতার পেশায় আসা এক বুকি জানিয়েছেন, “মটকার জন্য কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসতেই হবে। নইলে কাস্টমার হারাব। ডিম বিক্রিতে সেরকম কোনও ব্যাপারস্যাপার নেই। সব জায়গাতেই চাহিদা রয়েছে, দরকারমতো ট্রে তুলে আরেক জায়গায় ব্যবসা চালাও। আর এই বাজারে অল্প বেশি দাম দিতেও কেউ তেমন আপত্তি করছে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.