সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) কামড়ে বিশ্বজুড়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার মানুষ। সরকারি তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ লক্ষের কিছু কম। আর এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তুলনায় ভারতের পরিসংখ্যান অনেকটা স্বস্তিদায়ক। সীমিত পরিকাঠামো নিয়েও ভারতবাসীর সম্মিলিত লড়াই এই মহামারিকে এখনও অন্য দেশের মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারেনি। মহামারির আতঙ্কের মধ্যেও এ যেন সাফল্যের শামিল। এবার ভারতবাসীর এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-ও। হু-র কর্তা মাইকেল জে রায়ান বলছেন, মহামারি রুখে দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতের আছে। এই মহামারি রুখতে ভারতই গোটা বিশ্বকে দিশা দেখাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) শীর্ষস্থানীয় কর্তা রায়ান বলছেন, অতীত ভারত গুটি বসন্ত, পোলিওর মতো মহামারি আটকে দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এ দেশ করোনাভাইরাসেরও মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, “ভারত খুবই জনবহুল দেশ। এখানে COVID-19 রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে ভারত আগে দুটি মহামারির মোকাবিলা করেছে। মহামারি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা এ দেশের আছে।” রায়ান স্বীকার করে নেন, করোনার প্রকোপ কবে কমবে তাঁর উত্তর তাঁদের কাছে নেই। তবে ভারত যে এই মহামারি রুখতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন WHO কর্তা। তিনি বলেন, “করোনা কবে রোখা যাবে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। তবে ভারতের মতো দেশ অতীতেও গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আগামী দিনেও দেখাবে আশা করা যায়।”
সার্বিকভাবে প্রশংসা করলেও ভারতে করোনা পরীক্ষার কিটের অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন রায়ান। তিনি বলছেন, ভারতে রোগ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত।পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত ভারতে সরকারিভাবে সপ্তাহে ৫ হাজার জনের মতো করোনা পরীক্ষা করার পরিকাঠামো আছে। ২২ মার্চ পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬ হাজার জনের পরীক্ষা হয়েছিল। সরকার কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিলেও, তারা এখনও উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.