সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কালীপুজো আলোর উৎসব, দীপাবলি। ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। কেউ বা প্রদীপের বদলে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকেন দুয়ারে, বারান্দায়। বিবর্তনের পথ ধরে তার জায়গা নিয়েছে টুনিলাইট। আরও কত কী। চিনা লাইটও এসেছে। এগুলি সব বিদ্যুৎচালিত। আর এবারের কালীপুজোয় হিট ব্যাটারিচালিত ‘মোমবাতি’। লোডশেডিং হলেও কোনও সমস্যা নেই। বিদ্যুতের প্রয়োজন হচ্ছে না, ব্যাটারির তড়িৎই প্রজ্জ্বলিত রাখছে প্লাস্টিক মোমবাতি।
প্রতি বছরই কালীপুজোর মরশুমে নতুন নতুন আলোকমালার আবির্ভাব ঘটে বাজারে। সবই মূলত চিনা প্রোডাক্ট। এমনটাই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। এবার বর্ধমানের বাজারে হিট নতুন এই ব্যাটারিচালিত প্লাস্টিক মোমবাতি। শহরের রানিগঞ্জবাজার, বড়বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় খুব ভাল বিক্রি হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। দামও খুব বেশি নয়। প্রতিটির দাম ২০ টাকা থেকে শুরু। ৩০, ৪০ টাকার দামেরও রয়েছে। আকারের উপর নির্ভর করছে এই দাম। শহরের এক ব্যবসায়ী স্বপন হাজরা জানান, গতবছরও চিনা টুনিলাইট খুব বেশি পরিমাণে বিক্রি ছিল। এবারও চাহিদা রয়েছে। তবে এই প্লাস্টিক মোমবাতিও খুব বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে এবার।
[ দীপাবলির আগে বাড়িতেই বানান রং-বেরঙের মোমবাতি, জেনে নিন পদ্ধতি ]
শহরের বাসিন্দা মৌসুমী দাস প্লাস্টিক মোমবাতি কিনছিলেন একটি দোকানে। তিনি জানান, নতুন ধরনের মনে হল, তাই কিনেছেন তিনি। এটার একটা সুবিধাও রয়েছে। সাধারণ মোমবাতিতে আগুন ধরিয়ে রাখতে হয়। এটি ব্যাটারিচালিত হওয়ায় আগুনের কোনও ঝক্কি নেই। তিনি বলেন, “সাধারণ মোমবাতি জ্বালাতে হলে বাচ্চাদের বিপদের সম্ভাবনা থাকে। বড়দেরও। কিন্তু ব্যাটারিচালিত হওয়ায় বিপদের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগুন ছাড়াই দুয়ারে মোমবাতি জ্বালানো যাবে।”
[ অগোছালো আলমারি বলে দিতে পারে আপনার মনের কথা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.