জয়তী ভট্টাচার্য্য: খুন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তরুণী, হত্যা করার ধরনেও রয়েছে মিল। মুখে প্লাস্টিক বেঁধে মারা হয় সকলকে। এই ঘটনার সমাধান করতেই ফের পর্দায় অবতীর্ণ হয়েছেন, লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান শবর দাসগুপ্ত (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়), সঙ্গী এসআই নন্দলাল রায় (শুভ্রজিত দত্ত) এবং এসআই সঞ্জীব দাস (গৌরব চক্রবর্তী)। কেমন হল শবরের এবারের কীর্তি?
উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, যে সমস্ত নারীদের হত্যা করা হচ্ছে তাঁরা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট ডেটিং সাইটের সঙ্গে যুক্ত। এরপরই সামনে আসে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে দেখা যায় ডেটিং সাইটের মাধ্যমে একটি বিশেষ চরিত্রের(ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) সঙ্গেই নিয়মিত চ্যাট করেছেন মৃত তরুণীরা। এখান থেকেই ঘনীভূত হতে শুরু করে ‘আসছে আবার শবর’-এর গল্প। ধীরে ধীরে রহস্যের জাল ছড়াতে থাকে। সামনে আসতে শুরু করে মৃতাদের বন্ধু এবং পরিবারের বিভিন্ন মানুষের চরিত্রের নানা দিক। তৈরি হতে থাকে সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা, দেখা যায় অভিভাবকদের নিজেদের সন্তানদের প্রতি গাফিলতি। তারপর একসময় যাকে প্রকৃত খুনি মনে হয়, কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় সে আসল খুনি নয়। তাই আবার শুরু হয় প্রকৃত খুনিকে খোঁজার পালা। আর এরপরই সামনে আসে এমন এক তথ্য যা একদিকে বর্তমান সমাজে ভীষণরকম সত্যি, আবার অন্যদিকে অভাবনীয়।
কী সেই তথ্য? আর তার উপর ভিত্তি করে কেমন করে সামনে আসে খুনির নাম? তা জানতে আপনাকে পরিচালক অরিন্দম শীলের এই ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যেতেই হবে।
সিনেমার প্রথম ভাগ যতটা টানটান, দ্বিতীয় ভাগ অবশ্য ততটাও জোরাল নয়। শেষের দিকে পরিচালক একটু বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন বলেই মনে হয়। তবে শবর দাসগুপ্তের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং দু’জন এসআই-এর চরিত্রে শুভ্রজিত ও গৌরবের অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যান্য চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, অঞ্জনা বসু, অরুণিমা ঘোষ, মীর আফসার আলি, দর্শনা বণিক, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়রাও বেশ ভাল। এছাড়াও গল্পের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি টানটান দৃশ্য। যা আপনাকে চমকে দেবে। উপরি পাওনা কিছু হালকা হাসির মুহূর্ত। সবমিলিয়ে এই উইকএন্ডে প্রেমিক, প্রেমিকা বা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দেখে আসতেই পারেন ‘আসছে আবার শবর’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.