ছবি- প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের ইতিহাসে ২০২০ সালকে অভিশপ্ত বছরের তালিকাতেই রাখা হবে। এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই বছর নামী-দামি তারকাদের পাশাপাশি ছবির ইন্ডাস্ট্রির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও আকাশ ছুঁয়েছে। মার্চ মাস থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।
মার্চ মাসে করোনা সংকটের (CoronaVirus) সূত্রপাত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজের শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতির দাবি মেনে পুনঃসম্প্রচারের পথে হেঁটেছিল চ্যানেলগুলি। নিউ নর্মালে সুরক্ষা বিধি মেনে প্রথমে সিরিয়ালের শুটিং শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে কিছু সিনেমার শুটিং, ডাবিং, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ততদিনে বলিউডের বিস্তর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
এক্সিবিউটর-ডিস্ট্রিবিউটর অক্ষয় রাঠি জানান, সুরক্ষাবিধির প্রস্তাবনা সরকারকে দেওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সিনেমা হল খোলার অনুমতি মেলেনি। সিনেমার রিলিজ বন্ধ হওয়ার কারণেই প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রযোজক মহলের বক্তব্য, শুটিংয়ের অনুমতি মিললেও তা এখনও পুরোদমে শুরু করা সম্ভব হয়নি। আবার ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’, ‘ময়দান’-এর মতো সিনেমার বিশাল সেট তৈরি করা হয়েছিল। যা শুটিং না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বহু ছবির বিদেশে শুটিং স্থগিত হয়েছে। করোনা সংকটের (COVID-19) জন্য সিনেমার শুটিংয়ের খরচ বেড়ে গিয়েছে। স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি কলাকুশলীদের বিমার জন্য বিরাট পরিমাণে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে পরিচালকদের চিত্রনাট্য পালটাতে হচ্ছে। এর ফলে বিপুল ক্ষতি হয়েছে মুম্বইয়ে বিনোদন জগতের।
সাড়ে ছ’মাসেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সরকারি সাহায্য না মিললে, সিনেমা হলগুলি না খুললে তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সিনেমা হল খোলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই অক্ষয় রাঠি আবার প্রশ্ন তোলেন, সিনেমা হলগুলি বন্ধ থাকায় কি দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে? না বিগত কয়েকমাসে কমার কোনও লক্ষণ দেখা গিয়েছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.