ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পরও ডেটিং অ্যাপে দিব্যি মহিলাদের সঙ্গে চ্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ খ্যাত অভিজিৎ সাওয়ান্ত। স্ত্রী জানতেই পারেননি! শেষে সেই খবর চাউর হওয়ার পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেই ডেটিং অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন গায়ক। অভিজিৎ সাওয়ান্ত বিবাহিত, আপাতদৃষ্টিতে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। আর সেই কারণেই গুঞ্জন জোরালো হয়েছে তাঁকে নিয়ে।
কিন্তু স্ত্রী-সন্তান থাকার পরেও ডেটিং অ্যাপে কেন ঘুরঘুর করছিলেন অভিজিৎ? তাঁর সাফাই, “প্রায় দু-তিন বছর আগে আমি যখন আমেরিকায় ছিলাম, তখন আমার এক বন্ধুর থেকে জানতে পারি যে এরকম কোনও একটি অ্যাপ আছে। এই ডেটিং অ্যাপে ঠিক কি হয়, বা এটা ঠিক কী, সেই আগ্রহ থেকেই নিজের নামে একটি আকাউন্ট খুলেছিলাম সেখানে। অনেক প্রস্তাব আসত। বেশ কয়েকজন আমার সঙ্গে কথাও বলতেন। ব্যাস বিষয়টা ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। আমি কারও সঙ্গে দেখা করা বা কথা বলার চেয়ে বেশি কিছু করিনি। আমার স্ত্রী এসব বিষয়ে কিছুই জানত না। এমনকি ওঁর এই অ্যাপ সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই। হঠাৎ করেই পুরো বিষয়টি এক্স হ্যান্ডলে উঠে আসে। আমার তখন মনে হয় ও এই বিষয়ে কিছুই জানে না। ওঁর এটা জেনে খারাপ লাগবে। এখন আমার কী করণীয়? এরকম কোনও কিছু ঘটানোর আগে তোমাদের একটু ভেবেচিন্তে করা উচিত। এগুলো উচিত নয়।” কিন্তু সাফাই যতই দিক না কেন, সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না অভিজিতের। সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চা থামছেই না।
ধরা পড়েই কি সুর পাল্টাচ্ছেন অভিজিৎ? তাঁর আগে অবধি স্ত্রীকে লুকিয়েই সমস্ত কিছু দিব্যি চালাচ্ছিলেন। স্ত্রী এই বিষয়ে কিছু না জানায় তাঁকে নিয়ে ঠাট্টার ছলেই সবটা চালিয়ে গিয়েছেন নিশ্চিন্তে। ২০০৫ সালে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ বিজয়ী হন অভিজিৎ। ওই বছরেই তাঁর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয় ‘আপকা অভিজিৎ সাওয়ান্ত’ নামে। এরপর ২০০৭ সালে ও ২০১৩ সালে ‘আশিক বানায়া আপনে’ ও ‘জুনুন’ ছবি দুটির জন্য গান গেয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘তিস মার খান’ ছবিতে অভিনয়ে ডেবিউ করেন। ২০০৭ সালে চারহাত এক হয় অভিজিৎ ও শিল্পার। রয়েছে দুই সন্তান। তবে সবকিছু ঠিক থাকা সত্বেও শুধু মাত্র ডেটিং অ্যাপের গেরোয় গায়কের সংসারে উঠেছে ঝড়। আর এই ঘটনার জেরে সংসার বাঁচবে কীভাবে সেই দিশা খুঁজছেন অভিজিৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.