সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় নকশাল আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। অতীতে বামেদের মিছিলে দেখা গিয়েছে মহাগুরুকে। আবার একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে মঞ্চের শোভা বৃদ্ধি করেছেন তিনি। শিবসেনার পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন এককালে। এবার তিনি গেরুয়া শিবিরে। তিনি আসলে ‘সুবিধাবাদী পার্টি’র সদস্য। ব্রিগেডের মঞ্চে পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার পর এভাবেই তীব্র আক্রমণ করা হল মিঠুন চক্রবর্তীকে।
মোদির ব্রিগেডে কি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) থাকবেন? এ নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। তবে শনিবার বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিশ্চিত করে দেন ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন বাংলার সুপারস্টার। তারপর থেকেই জোরাল হয় মহাগুরুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মোদি মঞ্চে ওঠার আগেই গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন। ‘আমি গর্বিত আমি বাঙালি’, বাংলায় পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে হুঙ্কার দেন মিঠুন। আর এরপর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তাঁকে। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, তিনি বাঙালি কিন্তু গুজরাটি গর্বে গর্বিত। আবার কয়েকজন লিখেছেন, তিনি মহাগুরু হতে পারেন কিন্তু তিনি বাংলার লজ্জা।
অনেকেই মিঠুনের পুরনো বেশ কিছু ছবি তুলে ধরে কটাক্ষ করেছেন। যেখানে কখনও মমতার পাশে তো কখনও বামেদের মিছিলে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে। যদিও এই কটাক্ষকে বিশেষ আমল দিচ্ছেন না মিঠুন। নকশালদের সমর্থনের কথা খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেন, “নকশালদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলাম। পরে পারিবারিক কারণে সরে এসেছিলাম। কিন্তু সেই আন্দোলন আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তাই সেটা আমার সঙ্গে রয়ে গিয়েছে। তৃণমূলে যাওয়াটা ভাল-মন্দ যাই হোক, আমার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এই চিন্তাধারায় কোনও বদল ঘটেনি। আর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বাংলায় কাজ করার কথা বলেছেন। তাই তাঁর পাশে আছি।”
এরপরই প্রশ্ন উড়ে আসে, রিল লাইফে ‘মিনিস্টারে’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। রিয়েল লাইফেও কি এমনটা হতে চলেছে? জল্পনা অবশ্য পুরোটা উড়িয়ে দিলেন না। এককথায় বলে গেলেন, “হতেও পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.