ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। প্রতিবাদ করতে কখনওই পিছপা হননি তিনি। বামপন্থী মনোভাবাপন্ন এই অভিনেতা একাধিকবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। বাক্যবাণে বিদ্ধ হয়েছেন একাধিকবার। তবে হাজারও সমালোচনার মধ্যেও নিজেকে পালটে ফেলেননি নাসিরুদ্দিন। এবার অভিনেতা সুর চড়ালেন দেশজুড়ে চলতে থাকা গণপিটুনির বিরুদ্ধে। সরব হলেন তাতে হত্যা হওয়া মানুষগুলির জন্যে।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ধূমপান করে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার প্রিয়াঙ্কা ]
সম্প্রতি মুম্বইয়ের ডিওয়াইএফআই আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই অনুষ্ঠানেই দেশজুড়ে ঘটতে থাকা বিদ্বেষমূলক নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে গণপিটুনিতে হত্যার ভয়াবহতা নিয়ে মুখ খোলেন নাসিরুদ্দিন। তিনি বলেন, “মৃতদের পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। যেভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে তাঁরা যুঝে উঠেছেন, তাঁদের সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছি আমি। জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছেন তাঁরা। যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তার দুই শতাংশও সহ্য করতে হয়নি আমাদের।”
[আরও পড়ুন: এবার এষা গুপ্তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের দিল্লির হোটেল ব্যবসায়ীর]
দেশে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন অভিনেতা। উত্তরপ্রদেশের গণসংঘর্ষ নিয়ে মুখ খোলাতেও ব্যাপকভাবে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেসময়ে নাসিরুদ্দিন বলেছিলেন, “দেশে একজন পুলিশের মৃত্যু হলে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না, যতটা গুরুত্ব একটি গরু মরলে দেওয়া হয়।” আর তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরেই নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল গোটা নেটদুনিয়া জুড়ে। দেশে আজ যখন ধর্মে ধর্মে এত রেষারেষি, এত হানাহানি, ধর্মের দোহাই দিয়ে যেখানে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, নাসিরুদ্দিন সেই পরিস্থিতিতে নিজের সন্তানদের নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর কথায়, সন্তানদের কখনও কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার পরামর্শ দেননি তিনি। তাই কেউ যদি তাঁর ছেলেমেয়েদের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে তাঁদের কাছে কোনও উত্তর থাকবে না। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘সরফরোশ’ ছবিতে এক পাকিস্তানি গায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নাসিরুদ্দিন। দু’দশক আগেকার সেই প্রসঙ্গ টেনেও তাঁকে আক্রমণ করে বলা হয় পাকিস্তানে চলে যেতে। তাঁকে আখ্যা দেওয়া হয় ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে। তা নিয়েও এদিন কথা বলার সময়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন নাসিরুদ্দিন। তিনি বলেন, গণপিটুনিতে হত্যায় ভুক্তভোগীদের কষ্টের কাছে এটা তো কিছুই নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.