সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের কোনও বাঁধাধরা বয়স নেই। তবু তুলনামূলক একটু বেশি বয়সে বিয়ে হলেই খোঁচা সহ্য করতে হয়। ব্যতিক্রম নন দিলীপ-রিঙ্কুও। ঠিক যেমন একসময় সোশাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কুকথা সহ্য করতে হয় দীপঙ্কর-দোলনকে। নিজেদের বিয়ের পর সমালোচনার কথা স্মরণ করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী।
সোশাল মিডিয়ায় দোলন লেখেন, “দয়া করে কুৎসিত মন্তব্য করে নতুন দম্পতির মুহূর্তটা বিষিয়ে দেবেন না। যেমনটা আমাকে করেছিলেন। দয়া করে আর নয়। রাজনীতি বা পেশায় আলাদা। ব্যক্তিগত জীবন আলাদা। নিজে ভালো থাকুন। সবাইকে ভালো থাকার সুযোগ দিন।”
অভিনেত্রীর এই পোস্ট ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। দীপঙ্কর ঘরনি দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তবে নিন্দুকের তো অভাব নেই। কেউ কেউ দিলীপ-রিঙ্কুর পাশাপাশি দীপঙ্কর-দোলনেরও সমালোচনায় ব্যস্ত।
জীবনের ষাট বসন্ত কেটে গিয়েছে একাই। সংঘ পরিবারের ‘চিরকুমার’ দিলীপের সঙ্গে গত ২০২১ সালে ইকো পার্কে রিঙ্কুর আলাপ। উত্তর কলকাতা শহরতলির বিজেপি পর্যবেক্ষক তিনি। রাজনীতির সহযোদ্ধার সঙ্গে কখন যে মন বিনিময় হয়, তা যেন বুঝতে পারেননি কেউই। দিলীপের ‘বোল্ডনেসে’ ঘায়েল হন রিঙ্কু। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। মনে তখন অনুরাগের ছোঁয়া। রিঙ্কুর প্রেমে উথালপাথাল দিলীপ।
তবে তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা ভেবে এককথায় বিয়ের সিদ্ধান্তে রাজি হননি ‘দাপুটে’ বিজেপি নেতা। রিঙ্কুর থেকে মাসতিনেক সময় চেয়ে নেন। তবে মায়ের সঙ্গে কথাবার্তার পর সায় দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনে নিজের বাড়িতেই রিঙ্কুর সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দেন দিলীপ। একেবারে ঘরোয়া বৃত্তে বৈদিক মতে চারহাত এক হয়েছে দিলীপ ও রিঙ্কুর। ‘বেশি বয়সে’ বিয়ে নিয়ে সমালোচনার শিকার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। যদিও তাতে ‘ডোন্ট কেয়ার’ দিলীপ। বিয়ের পরদিন ইকো পার্কে খোশমেজাজে দেখা যায় তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.