সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার সাইক্লোনন আমফান তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। গোটা দক্ষিণবঙ্গ এক ভয়ংকর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আসছে একের পর এক দুঃসংবাদ। সাইক্লোন যে শুধু মাটি বা টিনের বাড়িরই ক্ষতি করেছে তা নয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিংও। শিকার হয়েছেন টলিউডের সেলিব্রিটিরাও। তাঁদের বহুতলকেও ছেড়ে কথা বলেনি আমফান। অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার বাথরুমের ফলস সিলিং ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে রান্নাঘরেরও। একটি ভিডিওয় সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেটা। সঙ্গে পোস্ট করেছেন ছবি।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে সুপার সাইক্লোন আমফান। পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, তার আশঙ্কা ছিল আগেই। তাই উপকবল অঞ্চলে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। প্রয়োজনমতো সব ব্যবস্থাই করেছিল প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখতে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আমফান যে আশঙ্কাকেও ছাপিয়ে যাবে, তা বুঝতে পারেনি বঙ্গবাসী। বিধ্বংসী এই ঝড়ের পর দু’দিন কেটে গেলেও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও করে উঠতে পারেনি প্রশাসন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ। জায়গায় জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছ। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই পর্যন্ত পানীয় জল। কলকাতাকে দেখে চেনার উপায় নেই এই সেই কল্লোলিনী তিলোত্তমা। দুই ২৪ পরবনার অবস্থা তো আরও খারাপ। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে একাধিক মানুষের বাড়ির ছাদ। নদী ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে বাড়ি। ঠাঁই নেই বহু মানুষের।
এমন পরিস্থিতিতে অন্তত বহুতলগুলি অনেকটাই সুরক্ষিত বলে মনে করে মাননুষ। পাকা বাড়ি। যথেষ্ট মজবুত। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলে উঠতে পারে এইসব বহুতলগুলি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। আমফানের প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি এই কংক্রিটেরর বাড়িগুলোও। তার প্রমাণ অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা দিয়েছেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে। তাঁর বাথরুমের ফলস সিলিং ভেঙে পড়েছে। সেই ছবি পোস্ট করে অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘সাইক্লোন না ভূমিকম্প? আমার বাথরুমের এই অবস্থা হয়েছে। জানলাগুলো ভেঙে গিয়েছে। সারা ঘরে জল থইথই।’ অভিনতা আরও লিখেছেন, তাঁদের মতো মানুষ তবু এগুলো সামলে নিতে পারবে। কিন্তু যারা দরিদ্র ভগবান যেন তাঁদের সহায় হন। সবাইকে সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা।
এরপর বৃহস্পতিবার অভিনেতা একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি সবাইকে আমফানের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অনুরাগীদের অবস্থা কী, তা জানাতে বলেন কমেন্ট বক্সে। তাঁর রান্নাঘরে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই কথা তখনই জানান অঙ্কুশ। এও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে আমফান। এই সাঁড়াশি আক্রমণ থেকে শুধুমাত্র মনের জোরেই বেরিয়ে আসার সম্ভব। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে মনের জোর না হারানোর আহ্বান জানিয়েছেন অঙ্কুশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.