Advertisement
Advertisement
Anurag Kashyap on Phule Controversy

ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, সেন্সর বোর্ডের কোপে জ্যোতিবা ফুলের বায়োপিক, শাপ-শাপান্ত করে কী বললেন অনুরাগ কাশ্যপ?

'পুরো সিনেমা সিস্টেমটাই কারচুপির শিকার', বিস্ফোরক অভিযোগ পরিচালকের।

Anurag Kashyap Bashes Censor Board Over Phule Controversy
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 17, 2025 12:12 pm
  • Updated:April 17, 2025 2:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির আগেই বিতর্কের শিরোনামে ‘ফুলে’। দেশের ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র, কুসংস্কার, নারীশিক্ষা, চেতনা বিকাশের পথিকৃৎ দম্পতি জ্যোতিবা ফুলে ও সাবিত্রীবাই ফুলের জীবনকাহিনি নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার রিলিজ আপাতত বিশ বাঁও জলে! একাধিক ব্রাহ্মণ সংগঠনের আপত্তি, সেন্সর বোর্ডের কোপে শেষ মুহূর্তে আটকে গেল ছবি মুক্তি। অনন্ত মহাদেবন পরিচালিত এই সিনেমায় মনুবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়েছে। একুশ শতকে দাঁড়িয়ে সিনেমায় জাতিভেদ প্রথা, দলিতদের উপর হওয়া অত্যাচারের দৃশ্য দেখানো নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ, পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডল-সহ আরও অনেক সংগঠন। যাঁর জেরে সেন্সর বোর্ড কিছু দৃশ্য ছেঁটে নতুনভাবে সিনেমার সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে নির্মাতাদের। এদিকে ‘তীরে এসে তরী ডোবায়’ বিপাকে পড়েছেন পরিচালক। এবার সেই প্রেক্ষিতেই সুর চড়ালেন অনুরাগ কাশ্যপ।

‘তুচ্ছ’ কারণে ‘ফুলে’ সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ায় বেজায় বিরক্ত অনুরাগ। অতঃপর ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, সেন্সর বোর্ডকে নিজস্ব ভঙ্গিতে তুলোধনা করতেও পিছপা হলেন না তিনি। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় ফলাও করে অনুরাগ লেখেন, “আমার জীবনের প্রথম নাটক জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীবাইকে নিয়ে। ভাই, এই দেশে যদি জাতিভেদ প্রথা না-ই থাকত, তাহলে ওঁদের লড়াই করার তো কোনও প্রয়োজনই ছিল না। এখন এই ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা কি লজ্জায় মরে যাচ্ছেন এসব কথা মুখে আনতে? নাকি ওঁরা এমন কোনও আলাদা ‘ব্রাহ্মণ ভারত’ নামক জায়গায় বাস করছেন, যেটা আমার চোখে পড়ছে না। আমাকে কেউ একটু বুঝিয়ে বলবেন?” এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি।

Advertisement

আরেকটি পোস্টে কাশ্যপের সংযোজন, “আরেকটি প্রশ্ন রয়েছে আমার, যখন কোনও সিনেমা সেন্সরশিপের জন্য যায়, তখন সেন্সর বোর্ডে মাত্র চারজন সদস্য থাকেন। যাঁরা সিনেমাটা দেখে ছাড়পত্র দেন। সেখান থেকে কীভাবে এই ছোটখাট গোষ্ঠীগুলি সিনেমা দেখার সুযোগ পায়, যতক্ষণ না তাদের হাতে ধরে কেউ অ্যাক্সেস দিচ্ছে? আসলে পুরো সিনেমা সিস্টেমটাই কারচুপির শিকার। আসলে এই জাতপাতের কুপ্রথা যাতে সিনেমার মাধ্যমে প্রকাশ্যে না চলে আসে, তাই শায়েস্তা করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তি আটকে দেওয়া হয়। বিষয়টা তাঁদের কাছে এতটাই লজ্জাজনক যে, তাঁরা খোলাখুলিভাবে বলতেও পারেন না ছবিটি তাদের বিরক্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একেবারে ভীতু কাপুরুষ।” উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা ছিল ‘ফুলে’র। তবে সেন্সরের গেরোয় পড়ে দু’ সপ্তাহ মুক্তি পিছল। আগামী ২৫ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement