সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে (Aryan Khan)। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। মামলার প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন।
২০২১ সালের ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে এনসিবি হানার নেপথ্যে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকেই আটক করা হয় আরিয়ান খানকে। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বেই আরিয়ান মামলার তদন্ত শুরু হয়। তারপর একাধিকবার আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। টানা ২৬ দিন জেলে কাটিয়ে জামিন পান আরিয়ান।
গত শুক্রবারই মাদক মামলায় আরিয়ানকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। এনসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শাহরুখপুত্রর বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রমাণ মেলেনি। তবে শুধুই আরিয়ান খান নয়, মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরও ৫ জনকেও ক্লিনচিট দিয়েছে এনসিবি। এরপরই তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)।
আরিয়ান ক্লিনচিট পাওয়ার পরই বিপাকে সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কর্ডেলিয়া ক্রুজে আরিয়ান-সহ যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা কেন করা হয়নি? ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে এনসিবি অফিসাররা যখন ক্রুজে হানা দিয়েছিলেন সেই ঘটনা রেকর্ড কেন করা হয়নি? আরিয়ানের কাছে যদি মাদক না পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে? এমন কিছু প্রশ্নের উত্তরই নাকি জানতে চাইছে বিশেষ তদন্তকারী দল। আর তাতেই নিশানায় হাই প্রোফাইল মাদক মামলার প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, সিটের তদন্তকারী অফিসারদের নাকি আরিয়ান জানিয়েছেন আমেরিকায় থাকার সময় তিনি গাঁজা সেবন করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কর্ডেলিয়া ক্রুজে যেন কোনও মাদক না থাকে তাও নাকি বন্ধু আরবাজকে জানিয়ে দিয়েছিলেন আরিয়ান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.