১৮ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে ‘চেক ইন, চেক আউট’। তার প্রাক্কালে বছরভরের সিনেমার কাজ এবং তাঁকে ঘিরে চলতি সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ইশা সাহা। শুনলেন শম্পালী মৌলিক।
গতবছর আপনার বড় কোনও ফিল্ম রিলিজ ছিল না। ২০২৫ সালটা কি আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে?
– এখনও অবধি তেমন মনে হচ্ছে। আমি ‘একেন’-এ আছি, ‘বেনারস বিভীষিকা’-তে। মে মাসে মুক্তি। এখন ‘চেক ইন, চেক আউট’ রিলিজ করছে ১৮ এপ্রিল। যদিও বছরের শুরুতে ‘অপরিচিত’ মুক্তি পেয়েছিল। আমার আরও ভালো লাগত, যদি ছবিটা আরও কিছু মানুষ দেখত। মনে হয়েছিল ছবিটা ভালো। এগুলো ছাড়া, আমার ধারণা ‘অসুখ বিসুখ’-ও এ বছর আসবে। এবং এই বছর ‘ইন্দু থ্রি’ আসার কথা। হোপফুলি বেশ কয়েকটা কাজ আসবে।
আরও কটা বড় কাজ তো রয়েছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সপ্তডিঙার গুপ্তধন’ শুট হবে আর শৌভিক কুণ্ডুর ‘তেজপাতা’-র শুটিং তো প্রায় শেষ।
– ঠিকই। আর ওটিটি-তে জয়দীপদার পরিচালনায় আরও একটা কাজ হয়ে আছে। সৃজিতদার পরিচালনায় প্রথম কাজ করব। একটা ছবিতে যখন জায়গা পেয়েছি, চেষ্টা করব আমার দুশো শতাংশ দেওয়ার। যদিও সব ছবিতেই চেষ্টাটা থাকে। এটার স্ক্রিপ্ট একবার শুনেছি, আবার বসা হবে। সব মিলিয়ে বেশ এক্সাইটেড।
ঠিক পয়লা বৈশাখের পরে ১৮ এপ্রিল ‘চেক ইন, চেক আউট’ আসবে আপনার। প্ল্যান কী পয়লা বৈশাখের?
– সেদিন ‘তেজপাতা’র শুটিং আছে, সুতরাং কাজ করে কাটাব।
ছবিটা করতে রাজি হওয়ার প্রধান কারণ কী?
– আমি প্রথমে বলেছিলাম দুদিন সময় চাই। বুঝতে পারছিলাম না, কম সময়ে কাজটা কীভাবে হবে। এই টিমে বেশ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কাজ করেছে। যদিও পরিচালক সত্রাজিৎদার (সেন) ওপর ভরসা ছিল। বহুদিন চিনি ওঁকে।
এই ছবিতে আপনি, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, রাতুল শংকর, অনুরাধা মুখোপাধ্যায় ছাড়া সে অর্থে স্টার নেই…
– সব ছবিতে স্টার থাকবে তার কোনও মানে নেই। আমি যখন ‘সোয়েটার’ করেছিলাম, আমাকে কেউ-ই চিনত না। তখনও শুনতে হয়েছিল স্টার নেই, চলবে? এখনও শুনতে হয়। ছবিতে স্টার নেই তো কী হয়েছে। নতুন পরিচালকরা কি কাজ করবেন না! আমি নিজেকে এখনও নতুনই বলি।
‘চেক ইন, চেক আউট’-এ আপনি হোটেলের জেনারেল ম্যানেজারের ভূমিকায়। ছবির গল্পটাই বোধহয় এমন জায়গায় যে, লোকজনের ধারণা, কলকাতা ইজ আ ডাইং সিটি। সেই ধারণা ভাঙা নিয়েই কি গল্পটা?
– এই ধারণা তো রয়েছে। গল্পে পারিবারিক ব্যবসা সেটা খুব লোকসানে চলছে। এখানে আমার চরিত্র নম্রতা বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে আসছে। সে খুব প্র্যাকটিকাল। হোটেলটার আরও উন্নতি করতে চায়। তবে নানা ঘটনার পরে ভাবতে থাকে প্রপার্টি বিক্রি করার কথা। কিন্তু বাবা-দাদু তো চায় না। দাদুর মনে হয় শুধু লাভ-ক্ষতি শেষ কথা নয়, আবেগ-মূল্যবোধের গুরুত্ব আছে। হোটেলের ভিতরের গল্পগুলো দেখতে বলে তাকে। হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে অতিথিদের সম্পর্কও গুরুত্ব পায়। সাসপেন্স, ড্রামা মিলিয়ে হরর-কমেডি ঘরানার ছবি এটা। মজার ছবি।
১১ এপ্রিল দুটো বড় বাংলা ছবি রিলিজ। তার পরের সপ্তাহে আপনাদেরটা। চিন্তিত?
– না, আমাদের ছবিটা ছোট ছবি। বড় ছবির রেসে নেই আমরা। ছবিটা রিফ্রেশিং। নতুন মুখ আছে। আমারও একবছর বাদে ফিল্ম। রাতুল শংকর ২৫ বছর বাদে ছবিতে। মনে হয় গল্পটা একটু অন্যরকম লাগবে দর্শকের।
২০১৭-এ ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ দিয়ে আপনার ডেবিউ বড়পর্দায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। ‘উইন্ডোজ’-এর ছবি, যারা আজকের নামী হিটমেকার। আজকে ২০২৫, আর কেন তাদের সঙ্গে কাজ হল না? ইচ্ছে করে না?
– আমার ইচ্ছে করলেই কি কাজ পাব! আমার নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে। কেন হল না, সেটা ওঁরাই বেটার বলতে পারবেন। আমার শুরু ওখান থেকে, বাড়ির মতো। আমি সব সময় অ্যাভেলেবল ওঁদের জন্য। একটা কলেই চলে যাব। এবার সেই ফোন কবে আসবে জানি না।
সাত-আট বছর ছবির জগতে, অনেক সময় না চাইতেও গুঞ্জনের অংশ হয়ে গেছেন। এটা কতটা অ্যাফেক্ট করে?
– গুঞ্জন যখন গুঞ্জনের মতো থাকে, অ্যাফেক্ট করে না। গুঞ্জন যখন মাথা ছাড়িয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে, সেটা নিশ্চিতভাবেই আমি সহ্য করব না। এই মুহূর্তে যে গুঞ্জন চলছে, যেটার কথা হয়তো বলতে চাইছ, সেটার আমি সক্রিয় অংশগ্রহণকারী নই। যদি কেউ এই গুঞ্জনকে অস্ত্র বানিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা, বা কুৎসা করে, সেটা হতে দেব না। মশলা মাখানো জিনিস বিক্রি হয়। যাদের জীবনে আর কিছু বিক্রি করার নেই, তারা এটাই করে অন্যের জীবন জড়িয়ে। আমি মেনে নেব না।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্তের সেপারেশনের মাঝে বার বার আপনার নাম উঠেছে ন্যাশনাল মিডিয়ায়। কী বলবেন?
– যে দুজনের নাম বললে, সেখানে আমার নাম কি আছে? কোথায়? ন্যাচরালি আসছে না। ওই জায়গার পার্ট আমি নই। এই জগতে-সমাজে আমারও একটা জায়গা আছে, যে যা ইচ্ছে বলবে, এটা হতে পারে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.