সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিছানার সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছেন। মাথার চারপাশ দিয়ে রঙিন চাদর এমনভাবে জড়ানো যাতে শুধুমাত্র নাক ও চোখ দু’টি দেখা যাচ্ছে। নাকের ডগা আবার লাল টকটকে হয়ে রয়েছে। চোখ জোড়া অবশ্য মোটা ফ্রেমের চশমায় ঢাকা। তবে ঠান্ডার প্রকোপ যে প্রবল তা অসহায় চোখের ভাষাতেই স্পষ্ট। গোটা শরীর ঢাকা মোটা কম্বলের আস্তরণে। অথচ শীত কম লাগার কোনও লক্ষণ নেই। কাশ্মীরের ঠান্ডা যে কী, তা হাড়ে টের পেয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। সেই দৃশ্যই টুইটার মারফত দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন। হ্যাঁ, এ ছবি স্বস্তিকারই। কাশ্মীরের ঠান্ডায় এভাবেই কাবু অভিনেত্রী।
কি ঠান্ডা 🥶🥶🥶🥶🥶🥶!!
বাঙালিদের ‘দি-পু-দা’ ই ভাল, জমে বরফ হয়ে গেলাম। #Kashmir pic.twitter.com/ckNxb3jxIZ— Swastika Mukherjee (@swastika24) April 2, 2021
ছবিতে স্বস্তিকাকে চেনাই দায়। প্রোফাইলে নামটি না থাকলে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতেন না। এ ছবি স্বস্তিকার হতে পারে। নিজের আপলোড করা ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, “কী ঠান্ডা!! বাঙালিদের ‘দি-পু-দা’ ই ভাল, জমে বরফ হয়ে গেলাম।” ‘দি-পু-দা’ শব্দের সঙ্গে বেশিরভাগ বাঙালিই পরিচিত। দিঘা, পুরী এবং দার্জিলিং ভ্রমণ মেছো জাতটি করেই থাকে। অবশ্য যাঁদের পায়ের তলায় সর্ষে আছে সেই বাঙালিরা কাশ্মীরেও যান। অভিনেত্রী কেন কাশ্মীরে গিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে বেশ শীতকাতুরে! তা এই ছবি থেকে বেশ বোঝা যাচ্ছে।
নায়িকার ছবি দেখে একজন আবার প্রশ্ন করেছেন, “মাঙ্কিক্যাপ কই?”। তাতে স্বস্তিকার উত্তর, “ওটাকে যে কী মিস করছি ভাবার বাইরে। আমরা ঠাট্টা করি কিন্তু এটা লাইফ সেভিয়র। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।” একজন আবার মজার ছলে লিখেছেন, “একটু তরলীকৃত ভাবে রাম নাম জপ করুন – সব ঠান্ডা দূর হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.