সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত ২ মাস ধরে পানভেলের ফার্মহাউসে বন্দি। বন্ধু-বান্ধব, প্রিয় পোষ্যরা ঘিরে থাকলেও মন ভাল নেই ভাইজানের। কারণ, বাবা-মাকে না দেখে আর পারছিলেন না। অতঃপর মুম্বই প্রশাসনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েই সলমন খান পাড়ি দিলেন গ্যালাক্সির উদ্দেশে।
মঙ্গলবার নিজের ফার্মহাউস পানভেল থেকে মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সলমন। ঘণ্টাখানেক থাকেন সেখানে। সূত্রের খবর, সমস্তরকম নিয়মকানুনই তিনি মেনেছেন। সাক্ষাৎকালীন সামাজিক দূরত্বও বজায় রেখেছেন ভাইজান। কিছুক্ষণ বাবা সেলিম খান এবং মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা সেরেই রাতের অন্ধকারে ফার্ম হাউসে ফিরে যান অভিনেতা।
সলমনের সঙ্গে যদিও বোন অর্পিতা এবং তাঁর স্বামী আয়ুষ শর্মাকে দেখা যায়নি পানভেল থেকে গ্যালাক্সিতে আসতে! কিন্তু রমজানের জন্যই কি ইদের আগে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে গেলেন ভাইজান? ঘনিষ্ঠ মহলে অবশ্য সেকথাই ঘুরছে। প্রসঙ্গত, এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাবা-মাকে না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপ গত মাসেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর অবশ্য সলমনের মুম্বইতে আসার খবরও চাউর হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তা ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন ভাইজান। পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর নাম করে এধরণের মিথ্যে খবর ছড়ানো হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, লকডাউনে গৃহবন্দি থেকেও সলমন কিন্তু বিভিন্নভাবে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই দুঃসময়ে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির বাইরেও তিনি অসহায়দের জন্য ত্রাতা হিসেবে অবতরণ করেছেন। দিন কয়েক আগেই পানভেলের ফার্মহাউসে সলমনের রেশন বিলি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। মুম্বইয়ের ফুটপাতবাসীদের কাউকেই যাতে অভুক্ত না থাকতে হয়, সেই ভাবনা থেকে ‘বিইং হাংরি’ নামে এক নয়া উদ্যোগও নিয়েছেন ভাইজান। যেখানে ট্রাকে করে ‘বিইং হাংরি’ কর্মীরাই মায়ানগরীর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দুস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছে খাবার। তবে সলমন নিজে তাঁর এই দান-খয়রাতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম পোস্ট না করলেও তাঁর ভক্তরাই মুম্বইয়ের রাস্তা থেকে ‘বিইং হাংরি’ ট্রাকের ছবি শেয়ার করে একথা প্রকাশ্যে এনেছেন। মু্ম্বইবাসীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেসব ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.