সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাল অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে দর্শকমহলে ভূমি পেড়নেকরের অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু দক্ষ অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি সমাজ সচেতনও বটে তিনি! আর তাই বোধহয় বলিউড অভিনেত্রীর মানবিক উদ্যোগের জন্য মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই ধন্য ধন্য করছেন তাঁর নামে। ব্যবসা শুরু করার জন্য এক অভাবী স্পটবয়ের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভূমি। যার প্রতিদানও দিয়েছেন ওই স্পটবয়!
মুম্বইয়ের সেই স্পটবয়ের নাম উপেন্দ্র সিং। যিনি কিনা বিগত চার বছর ধরে ভূমি পেড়নেকরের সঙ্গে কাজ করছেন। অনেক দিন ধরেই উপেন্দ্রর ইচ্ছে ছিল ভ্যানিটি ভ্যানের ব্যবসা শুরু করার। বর্তমানে মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে ভ্যানিটি ভ্যানের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কোন তারকার কত ভাল ভ্যানিটি ভ্যান, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে সবসময়েই এসব আলোচনা চলতে থাকে। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে উপেন্দ্ররও ইচ্ছে ছিল ভ্যানিটি ভ্যানের ব্যবসা শুরু করার। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও টাকা ছিল না। তবে উপেন্দ্রর ইচ্ছের কথা জানতে পেরেই ভূমি তাঁকে টাকা দিলেন ব্যবসা শুরু করার জন্য।
আর টাকা পেয়ে প্রথম ভ্যানিটি ভ্যান কার জন্য বানালেন উপেন্দ্র জানেন? যিনি তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। আজ্ঞে, ভূমির জন্যই প্রথম ভ্যানিটি ভ্যান গড়ে দিলেন উপেন্দ্র। ঘটনার সূত্রপাত, ‘সান্ড কি আঁখ’-এর শুটিংয়ের সময়। শুটিং চলাকালীন টিমকে প্রচুর ঘুরতে হয়েছিল। তখনই কথায় কথায় একদিন ভূমি উপেন্দ্রকে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি নিজে কিছু করছ না কেন?” উপেন্দ্র ছেলেমেয়ের জন্য আলাদা করে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন শুনে, ভূমিও তাঁকে অনুপ্রেরণা দিলেন। এবং আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। করলেনও তাই। ভূমির কথায়, “উপেন্দ্রর সঙ্গে বহুদিন ধরেই কাজ করতে পারছি। ওর জন্য কিছু করতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।”
আর বাকি গল্পটা শোনালেন উপেন্দ্র। তাঁর কথায়, “ভ্যানিটি ভ্যানের ব্যবসা নিয়ে আমি অনেক দিন আগে থেকেই ভাবছিলাম। কিন্তু কী করে শুরু করব বুঝতে পারছিলাম না! কিন্তু ভূমিদিদি যখন আমাকে অনুপ্রেরণা দিলেন, তখন নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম। আমি সব সময় দিদির কথা বলব। কারণ, ব্যবসা শুরু করার সাহস তিনিই আমাকে জুগিয়েছেন। মনে মনে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, ভূমিদিদির সব ছবি যেন হিট হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.