সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাদু প্রয়াত ইরিক ফ্রান্সিস এবং বাবা প্রয়াত বিক্রম কুমার জেটলি – দু’জনেই ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই সেনা পরিবারের সঙ্গে আত্মিক যোগ তাঁর। ভারত-পাক অশান্ত পরিস্থিতিতে তাই আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, “শুনেছি উধমপুরের আর্মি পাবলিক স্কুলে হামলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য শুধু একটা খবর নয়। শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। চোখে যেন জল চলে আসার জোগাড়। এই স্কুলের সঙ্গে শৈশবের কত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।” সীমান্তে সেনাবাহিনীর সাহসিকতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে স্মৃতিতে ডুব দেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “১৯৮০ সালে আমি জন্মেছি। বাবা এবং দাদু সেনাবাহিনীতে যুক্ত। ওঁদের দেখেই বড় হয়েছি। প্রতিটি বিদায়ই শেষবারের বিদায় হতে পারে জেনেই আমি বড় হয়েছি। আমার বাবা বিস্ফোরণের শব্দে মাত্র ৪১ বছর বয়সে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। সেনার পরিবারের সদস্য হিসাবে শক্তিশালী হিসাবে বড় হয়েছি।”
সেলিনা আরও বলেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমার বাবা সবে একুশ বছরের। বাবা ভাদুরিয়ার যুদ্ধে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। একাধিক জায়গায় গুলি লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও লড়ে গিয়েছিলেন। বাবা সাহসিকতার জন্য দু’বার পুরস্কৃতও হন।” অভিনেত্রী নিজেও সেনাবাহিনীতে যোগদানের চিন্তাভাবনা করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি মডেলিংয়ের পাশাপাশি কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস এক্সামিনেশন এবং এএফএমসি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মিস ইন্ডিয়া হওয়ার সময়েও বাবা এবং আমার আশা ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেব। আমার পরিবারের বহু মহিলাই সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। আমার কাকিমা নৌবাহিনীর চিকিৎসক। আমার স্বপ্ন ছিল সেনার পোশাক পরা। কিন্তু তা পারিনি। সেটাই আমার একটি অপূর্ণ স্বপ্ন।” এর আগে সেনাকন্যা রিয়া চক্রবর্তীও একইভাবে আবেগে ভাসেন। সেনার শক্তির গাথা তুলে ধরেন সোশাল মিডিয়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.