অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত সন্ধ্যা রায়ের (Sandhya Roy) শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ৮০ বছরের অভিনেত্রীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অর্থাৎ অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা রায়ের অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ছিল ৯৬। যা রবিবার বিকেলে ৯৪ হয়ে গিয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে দেখছেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ক্লাস ফোর টাইপ স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
শুক্রবারই বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। কিন্তু শনিবার তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে তাঁকে উডল্যান্ডে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রসূন মিত্রের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে প্রবীণ অভিনেত্রীর।
রবিবার সন্ধ্যা রায়ের পালস রেট ৬৮-র কাছাকাছি রয়েছে। রক্তচাপ সর্বোচ্চ ১৩০ এবং সর্বনিম্ন ৮০। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সুগারের মাত্রা ওঠানামা করছে। হাইপারটেনশন ও হাই ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁর। কিডনির সমস্যাও হচ্ছে। সেই কারণে ইউরিন, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম লেভেল টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেমন্তী চক্রবর্তীও দেখছেন সন্ধ্যা রায়কে।
নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। অভিনেত্রীর কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। পরে ১৯৫৭ সালে ভারতে ফেরেন সন্ধ্যা রায়। সিনেমার জগতে তাঁর প্রবেশ ছয়ের দশকে। ‘মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বাবা তারকনাথ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমসারির অভিনেত্রী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘গণদেবতা’ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ভোটে জিতে মেদিনীপুরের সাংসদ হন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.