সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ছপাক’ তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। বলেছিলেন, আমরা সাধারণত প্রথমে ছবির গল্প শুনি, তারপরই ঠিক করি যে সেই ছবিটা করব কিনা! ‘ছপাক’- এর ক্ষেত্রে পরিচালক মেঘনা যখন আমায় ছবির গল্প বলছিলেন, ঠিক তখনই এটা আমার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল।” তখন থেকেই অ্যাসিড আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি তৈরি হয় অভিনেত্রীর। আর সেই সহানুভূতির প্রকাশ ঘটল আবৃত্তিতে। অন্যায়ের প্রতিবাদের বার্তা দিয়ে তিনি ও বিক্রান্ত মাসে আবৃত্তি করলেন, ‘আব লড়না হ্যায়’।
অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ছপাক’। ২০০৫ সালে তাঁকে এক যুবক প্রেম প্রস্তাব দেয়৷ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন লক্ষ্মী৷ এই ‘অপরাধে’ ওই যুবক লক্ষ্মীর মুখ-সহ গোটা শরীর লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে৷ দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ এরপর অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হন৷ তাতেও দমেননি লক্ষ্মী৷ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ একটি এনজিওর হয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করতেন লক্ষ্মী৷ বিয়ে করেন তিনি৷ সন্তানও রয়েছে তাঁর৷ কিন্তু সাংসারিক জীবনেও সেভাবে সফল হননি৷ লড়াকু এই মহিলাকে সমাজ সহজে মেনে নেয়নি। তাঁর ভয়ানক চেহারার জন্য অনেক জায়গায় অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকে।
লক্ষ্মীর মতো অনেক অ্যাসিড আক্রান্ত মানুষ আজও সমাজে ব্রাত্য। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে, সময় কাটাতে সংকুচিত হন আর পাঁচজন। এই মনোভাব থেকে সমাজ যাতে বেরিয়ে আসে, তার বার্তা নিয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে আবৃত্তি করলেন দীপিকা ও বিক্রান্ত। সেখানে তাঁরা শুধু অ্যাসিড আক্রান্তদের কাছে টেনে নেওয়ার কথাই বলেননি, সমাজের ছুঁৎমার্গ থেকেও মুক্তি পাওয়ার কথা বলেন। জানান, যাঁরা অ্যাসিড আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এখানেই শেষ নয়। পরিবেশ রক্ষা, ইভটিজিং ইত্যাদি নিয়েও বার্তা দিয়েছেন দুই অভিনেতা।
১০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘ছপাক’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মেঘনা গুলজার। প্রধান দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও বিক্রান্ত মাসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.