অভিরূপ দাস: কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) শারীরিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। তাঁর চেতনার মাত্রা ক্রমশ কমছে। যার ফলে বাড়ছে আচ্ছন্নভাব। ধরা পড়েছে সেপ্টিসেমিয়া। এই সমস্ত কারণেই চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে তরুণ মজুমদারের কিডনির সমস্যা ছিল। এছাড়াও ৯২ বছরের পরিচালক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসও রয়েছে তাঁর। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম বর্ষীয়ান পরিচালককে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়।
মস্তিষ্কের চেতনা সজাগ রাগে যে ব্যবস্থা তা হল রেটিকিউলার অ্যাক্টিভেটিং সিস্টেম। সেটাই ক্রমশ কমে যাচ্ছে কিংবদন্তি পরিচালকের। সেই কারণেই তাঁর আচ্ছন্নভাব বেশি। ন্যাজাল ক্যানুলা মারফৎ অক্সিজেন দিয়েই তরুণ মজুমদারের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ ছুঁইছুঁই। প্রতি মিনিটে ৪-৬ লিটার অক্সিজেন দেওয়াও হচ্ছে তাঁকে। ৯২ বছরের পরিচালককে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর রাইলস টিউব দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে বলে খবর।
ব্রিটিশ শাসিত ভারতে জন্ম তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar)। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে নিজে পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেন ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো সিনেমার মাধ্যমে। একাধিক জাতীয় পুরস্কার হয়েছে তরুণ মজুমদারে ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। কিংবদন্তি পরিচালকের আরোগ্য কামনায় প্রর্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.