‘মিসেস আন্ডারকভার’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত রাধিকা আপ্তে। সিনেমার বাইরেও নিজের একটা আলাদা জগৎ রয়েছে তাঁর। জীবন বাঁচতে চান একেবারেই নিজের মতো করে। একান্ত আলাপচারিতায় মনের কথা বললেন রাধিকা। শুনলেন বিদিশা চট্টোপাধ্য়ায়।
কলকাতায় ‘অন্তহীন’ দিয়ে আপনার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। সেই শহরে প্রায় ১৬-১৭ বছর পর ফিরে এসে শুটিং করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রাধিকা: ইটস রিয়্যালি নাইস অ্যান্ড নস্টালজিক! যদিও শহর ঘুরে দেখার সময় পাইনি। খুব হেকটিক শুটিং ছিল। মূলত হোটেল আর লোকেশন ঘুরেই সময় কেটেছে।
‘মিসেস আন্ডারকভার’ বোধহয় প্রথম হিন্দি ছবি যেখানে আপনি নামভূমিকায়। আলাদা করে আনন্দ দেয়?
রাধিকা: ইট ফিলস অলরাইট। আমি তেমন মানুষ নই যার এইগুলোতে বাড়তি আনন্দ হয় বা তেমন চরিত্র পাচ্ছি না বলে কমপ্লেন তৈরি হয়। ইট ফিলস গুড!
‘মিসেস আন্ডারকভার’-এর সংলাপ ‘হর নারী মে দুর্গা হ্যায়’! এই যে ক্রমাগত নারীজাতিকে শক্তির রূপ বলে সেলিব্রেট করা হয়, এটাও সমস্যার মনে হয় না? অর্থাৎ যে ভাল-মন্দ গুণ নিয়ে সাধারণ নারী, দুর্গা হতে পারল না, তাকে সেলিব্রেট করা হবে না!
রাধিকা: দেবী যেমন বলা হয় তেমন নারীর প্রতি ততটাই অসাম্য এবং ইনজাস্টিস রয়েছে। আমি সমতায় বিশ্বাসী। নিজের জীবনে এবং আমার চারপাশে যারা আছে– সবার জন্য এই ইকুয়ালিটির লড়াই করে গিয়েছি। কাউকেই কোনও উঁচু আসনে বসাই না, তা সে যেই হোক, যে পেশারই হোক!
ইদানীং পর পর অনেক প্রোজেক্টে না বলেছেন। আগামিদিনে কীভাবে এগোতে চান?
রাধিকা: আমি অনেক অফার ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম, তার প্রধান কারণ আমি স্ক্রিপ্ট লেখায় সময়
দিতে চাই। পরিচালনাতেও আসতে চাই। যদিও এই মুহূর্তে কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত লেখার চেষ্টা করছি। তাছাড়া একটা ব্রেক নিতে চেয়েছিলাম কারণ কন্টিনিউয়াসলি কাজ করে গিয়েছি গত কয়েক বছর ধরে। এবং কাজে একটা ব্যালান্স খোঁজার চেষ্টা করছি। ক্রিয়েটিভ স্যাটিসফ্যাকশন, আর্থিক চাহিদা, কমার্শিয়াল অ্যাপিল– এই সব কিছু বুঝে প্রোজেক্ট করতে চাই।
আপনি অনুষ্ঠানে এলে ‘মোনিকা’-র জন্য অ্যাওয়ার্ড পাবেন– এই রকম একটা ফোন পেয়েছিলেন? এই ধরনের অ্যাওয়ার্ড শো নিয়ে কী মতামত?
রাধিকা: ভারতে অ্যাওয়ার্ড ফাংশনগুলো অনেকটা এইরকমই। হেলদি কম্পিটিশন থাকা ভাল। কখনও নিজের ভাল কাজের জন্য পুরস্কার পেলে ভালই লাগে। আবার কখনও মনে হয়, দিজ অ্যাওয়ার্ড ফাংশনস আর সো মেড আপ! কিছু পুরস্কারের ক্রেডিবিলিটি আছে আবার কিছুর নেই, এছাড়া আর কীই বা বলব! ইটস ওকে! ইটস পার্ট অ্যান্ড পার্সেল অফ ওয়ার্ক!
রাধিকা, আপনার মধ্যে একটা স্বাধীন সত্তার পরিচয় পাই। সেটা কী আপনার পার্টনার বেনেডিক্টের সঙ্গে সমমনস্ক সম্পর্কের কারণে না কি যেভাবে বড় হয়েছেন তার কারণে?
রাধিকা: আমি ফ্রি স্পিরিটেড কি না জানি না, তবে গ্ল্যামার জগৎ থেকে অনেকটাই ডিট্যাচড। এটা আমার চয়েস বলতে পারেন এবং এই জগৎ থেকে দূরে থাকা আমার জীবনে আমি প্র্যাকটিস করেছি। এখানে এসে কাজ করতে গিয়ে তাই সেরাটা পাই। বেস্ট অফ বোথ ওয়র্লড আই গেস। আই হ্যাভ লাভলি ফ্রেন্ডস হিয়ার। আর দূরত্ব সবসময় সত্যিটা বুঝতে সাহায্য করে।
বাংলা ছবিতে কবে দেখতে পাব?
রাধিকা: ভাল স্ক্রিপ্ট পেলে নিশ্চয়ই করব!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.