সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাব…’- জয় গোস্বামীর এই কবিতা বাঙালির অতিপরিচিত। বর্তমান উত্তাল সময়ে আবারও চর্চিত এই কবিতা। নেপথ্যে গৌতম হালদার। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা পা’র এক বিশেষ পর্বে হাজির হয়েছিলেন নাট্যশিল্পী। সেখানেই এই কবিতা মঞ্চস্থ করেন তিনি। তবে আপত্তি উঠেছে তাঁর উপস্থাপনার ধরণ নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, কোথাও কি তিনি এর মাধ্যমে নারীদের লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করলেন? সোশাল পাড়ায় বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন সেই আবহেই মুখ খুললেন শিল্পী গৌতম হালদার (Goutam Haldar)।
আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত সোশাল মিডিয়া। নারীদের সামাজিক অবস্থান, স্বাধীনতা নিয়ে যখন প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, সেই আবহে গৌতমের ‘বেণীমাধব’ উপস্থাপনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে। কিন্তু তাতেই কটাক্ষের বন্যা। গৌতম হালদারের কণ্ঠে ‘বেণীমাধব’ মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনদের সিংহভাগ। চ্যানেলের পোস্টে কেউ লিখলেন, ‘মোটেই ভাল লাগেনি। এর থেকে লোপামুদ্রা মিত্রের গানটি চোখ বন্ধ করে শোনা অনেক ভাল।’ কেউ বলছেন, ‘আপনি বড় মাপের শিল্পী কিন্তু দয়া করে এভাবে আর আবৃত্তি বা গান করবেন না। অসুস্থ বোধ হয় আমাদের।’ কারও মন্তব্য, ‘একজন স্কুলে পড়া মেয়ে এভাবে কদাকার অভিব্যক্তি করে নিজেকে প্রকাশ করে কিনা জানি না…।’ এককথায় কটাক্ষের পাহাড় জমেছে নেটপাড়ায়। বিতর্কের এমন আবহে কী বলছেন গৌতম খোদ?
সংবাদমাধ্যমের কাছে নাট্যশিল্পী জানিয়েছেন, “শিল্পী হিসেবে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটোই গ্রহণ করব। এর আগে দেশে-বিদেশে, অজস্র জায়গায় আমি ‘বেণীমাধব’ উপস্থাপনা করেছি। শ্রোতারা কিন্তু তখন মন খুলেই প্রশংসাই করেছেন। এই আবৃত্তিতে তো অভিনয়ও রয়েছে। নাটকের মাধ্যমে তো শব্দকেও খোঁজা সম্ভব। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না। শিল্পের প্রতি যাঁদের শ্রদ্ধা নেই, আমি তাঁদের গুরুত্ব দিতে চাই না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.