সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনওই ঢাকঢাক গুড়গুড় করেননি হেমা মালিনী বা ধর্মেন্দ্র। কিন্তু ধর্মেন্দ্র যেহেতু বিবাহিত ছিলেন, তাই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কউর কীভাবে নিজের স্বামীর দ্বিতীয় সম্পর্ক মেনে নিলেন, তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু সেসব পাত্তা দেননি হেমা মালিনী। যদিও তাঁকে নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে কীভাবে তিনি জড়ালেন, তা নিয়ে অনেকেই সেসময় নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন। যদিও হেমার দাবি, তিনি ধর্মেন্দ্রকে তাঁর পরিবারের থেকে আলাদা করেননি।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ হেমা মালিনী। সেখানে তিনি বলেন, “আমি যখন ধরমজিকে দেখেছিলাম, তখনই মনে হয়েছিল তিনি আমার। আমি ওঁর সঙ্গে জীবন কাটাতে চাইতাম। তবে এটাও চাইতাম আমাদের বিয়ে যেন কাউকে আঘাত না করে। ওঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জীবনে কখনও আমি নাক গলাইনি। ওঁকে ওঁর পরিবার থেকে কখনও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাইনি।” তবে ধর্মেন্দ্র ও হেমার বিয়েতে মন ভেঙেছিল বলিউডের দুই অভিনেতার। জিতেন্দ্র ও সঞ্জীব কুমারের পছন্দ ছিল হেমাকে। অভিনেত্রীর পরিবারও জিতেন্দ্রকে পছন্দ করত। শোনা যায়, সঞ্জীব কুমারও হেমাকে বিয়ে করতে না পেরে মুষড়ে পড়েছিলেন।
প্রকাশ কউরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। তখন ধর্মেন্দ্র বয়স ছিল ১৯ বছর। ১৯৮০ সালে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন তিনি। যদিও প্রকাশকে ডিভোর্স দেননি ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল অভিনেতা। দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা অবশ্য অভিনয় জগতে আসেনি। হেমা মালিনীর সঙ্গে বিয়ের পর দুই মেয়ে হয় ধর্মেন্দ্রর। এষা ও অহনা। এষা অভিনয়ে এলেও অহনা বলিউডের ধার ঘেঁষেননি। তিনি নাচের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। অহনা ক্লাসিকাল ডান্সার। বহুবার মা ও মেয়েকে একসঙ্গে পারফর্ম করতেও দেখা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.