সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁকা বাড়ির ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বিল নিয়ে সম্প্রতি হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। সাংসদ-অভিনেত্রীর অভিযোগ, ‘বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও ১ লক্ষ টাকা বিল এসেছে।’ সম্প্রতি মাণ্ডির এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগতে ছাড়েনি তিনি। ‘নেকড়ে’ বলেও তুলোধনা করেন নেত্রী-অভিনেত্রী। এবার হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড পালটা বিবৃতি প্রকাশ করে বিঁধলেন কঙ্গনা রানাউতকে (Kangana Ranaut)।
কঙ্গনা সেদিন অভিযোগ করে বলেছিলেন, “এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে কী চলছে হিমাচলে। কিন্তু আমাদের কাছে তো একটা উপায় রয়েছে। আমার যে ভাইবোনেরা মাঠে খেটে কাজ করেন, এই দেশ, এই রাজ্যকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমি তো বলব, এরা নেকড়ে। আর আমাদের রাজ্যকে ওদের থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।” এবার সাংসদ-নায়িকার এমন বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তিতেই মুখ খুলল হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার। ওই বিবৃতিতে কঙ্গনার বাড়ির গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিলের রশিদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাণ্ডির সাংসদের বিরুদ্ধে বকেয়া বিল না মেটানোর অভিযোগও তুলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।
ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কঙ্গনা রানাউতের তরফে ১ লাখি বিলের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যে। এই ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। সভাপতির মন্তব্য, “জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দু’ মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই বিল দিতে না পারায় ফাইন হিসেবে অতিরিক্ত ৩২,২৮৭ হাজার টাকা যুক্ত হয় তার সঙ্গে। দু’ মাসের বকেয়া টাকা-সহ অতিরিক্ত ফাইনের পুরো অঙ্ক যোগ করলে সেটা ৯১ হাজারের খানিক বেশি দাঁড়ায়। মোটেই ১ লক্ষ টাকা হয় না। তাছাড়া, কঙ্গনা যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫,০০০ টাকার বিলই যেত।” কঙ্গনার যে বাড়ির বিদ্যুতের বিল নিয়ে এত তরজা, সেটি সিমসা গ্রামে অবস্থিত। অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি সেই বাড়িতে থাকেন না, তবে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের দাবি, “৯৪.৮২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ওই বাড়িতে, যা সাধারণ গৃহস্থালি কানেকশনের তুলনায় প্রায় ১,৫০০ শতাংশ বেশি।” সেই প্রেক্ষিতেই এবার প্রশ্ন উঠেছে, ফাঁকা বাড়িতে এত কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ কেন প্রয়োজন?
চব্বিশের লোকসভা ভোটে জিতে মাণ্ডির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন কঙ্গনা। তার পর থেকেই বলিউডের লাইমলাইট থেকে শত হস্ত দূরে সংসদীয় এলাকায় সময় কাটান অভিনেত্রী। সম্প্রতি মানালিতে এক নতুন রেস্তরাঁও খুলেছেন। বরাবরই নিজের কর্মকাণ্ড কিংবা বেফাঁস মন্তব্যের জেরে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেন কঙ্গনা রানাউত। এবার হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগেছিলেন অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল নিয়ে। তবে বুধবার কঙ্গনার অভিযোগের পালটা এক বিবৃতি প্রকাশ করল হিমাচলের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.