সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার মুম্বইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলিউডের প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেলেন রানু মারিয়া মণ্ডল। কারণ? গতকালই এক অনুষ্ঠানে মুক্তি পেল ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটি। রানাঘাটের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মুম্বইয়ের রেকর্ডিং স্টুডিওতে রানুর জার্নির কথা বলতে গিয়ে এদিন গলা বুজে আসে হিমেশের। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
রানুর গাওয়া গান ‘প্যায়ার কা নগমা’র ভিডিও দেখে সেদিনই হিমেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে এই কণ্ঠ ইশ্বরপ্রদত্ত। ‘সুপার সিঙ্গার’-এর মঞ্চেও রানু কীভাবে গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উপস্থিত বিচারক তথা দর্শকদের, স্মৃতি রোমন্থন করে সেই কথাগুলো অনুষ্ঠানে বলতে গিয়েই ভীষণরকম আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। একসময়ে গলা বুজে আসছিল তাঁর। রানাঘাটের স্টেশনে কেমন জীবনযাপন করতেন বাংলার রানু? সেকথা উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করতে গিয়ে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মুম্বইয়ের খ্যাতনামা সংগীতকার হিমেশ রেশমিয়া।
রানুকে নিয়ে লতা মঙ্গেশকরের মন্তব্য প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন হিমেশ এদিন। তাঁর মতে, লতা মঙ্গেশকরের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। তিনি কিন্তু রানুকে ছোট করে কোনও কথা বলতে চাননি। “রানুজির কণ্ঠ ঈশ্বরপ্রদত্ত। উনি লতাজির থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। লতাজি একজনই। আরেকটার মতো হওয়া অসম্ভবপর। রানুজি সদ্য বলিউডে নিজের সুন্দর যাত্রার শুরুয়াত করলেন। লোকজন লতাজির মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে। লতাজি আসলে বলতে চেয়েছেন কারও থেকে অনুপ্রেরনা নেওয়া ভাল, কিন্তু কাউকে অনুকরণ করা ঠিক নয়। আর রানুজি তো কাউকে অনুকরণ করছেন না। নিজের মতো করে গাইছেন”, অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন হিমেশ।
‘তেরি মেরি কাহানি’র পর বাংলার রানুকে দিয়ে আরও দু’ দু’টি গান রেকর্ড করিয়ে ফেলেছেন হিমেশ রেশমিয়া। তার মধ্যে একটি ‘আদত’, এবং অন্যটি ‘আশিকি মে তেরি’, যা ২০০৬ সালের শাহিদ কাপুর এবং করিনা কাপুর অভিনীত বক্সঅফিস হিট কমেডি-মার্ডার থ্রিলার ‘৩৬ চায়না টাউন’ ছবির টাইটেল সং। টিজারেই রীতিমতো হিট। তবে শ্রোতাদের শুধু একটাই আক্ষেপ, ‘গোটা গানটা কবে শুনতে পাওয়া যাবে?’ তার মধ্যে ‘তেরি মেরি কাহানি’ মুক্তি পেয়েছে। আর বাকি ২টোর অপেক্ষায় শ্রোতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.