সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রায় সকলেই। প্রবীণ গীতিকার জাভেদ আখতারও একাধিকবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ের শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও একবার শত্রুদেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তিনি। পাকিস্তানের চেয়ে নরকে যাওয়াও ভালো বলেই দাবি তাঁর।
তিনি বলেন, “কোনও এক ধর্মের নয়। হিন্দু, মুসলমান সকলেই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। একদল আমাকে বলছেন কাফির। আমার নরকে যাওয়া উচিত। আবার একদল আমাকে জেহাদি বলছেন। তারা আমাকে পাকিস্তানে যেতে বলছেন। আমাকে নরক আর পাকিস্তানের মধ্যে একটি জায়গা বেছে নিতে বললে আমি নরকের পক্ষে।” তাঁর এই কথা শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সকলেই হেসে ফেলেন। প্রবীণ গীতিকার আরও একবার বলেন, “হিন্দু, মুসলমান উভয়ে আমার সমালোচনা করছেন। তবে যাঁরা আমার পাশে রয়েছে তাঁদের কথা না বললে চলবে না। অনেকেই আমাকে সমর্থন করেছেন। প্রশংসা করেছেন। সাহস জুগিয়েছেন। তবে চরমপন্থীদের কথা আলাদা।”
পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর আগেও একাধিকবার ফুঁসে উঠেছেন জাভেদ আখতার। পাকশিল্পীদের ভারতে বয়কটের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। “সম্পর্ক আর সম্মানের বিষয়টা সবসময়ে একতরফা থেকেছে। নুসরত ফতেহ আলি খান, গুলাম আলি, নূর জাহান ভারতে যখন এসেছিলেন, আমরা তাঁদের দারুণভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম। এরপর ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ এলেন। যিনি এই উপমহাদেশের একজন বড় কবি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও তিনি যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ভারতে এসেছিলেন, তখন তাঁকে রীতিমতো রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সম্মান দিয়েছিল সরকার। এর প্রতিদান কখনও দেওয়া হয়নি! পাকিস্তানের বড় বড় কবিরা লতা মঙ্গেশকরের গানের জন্য লিখেছিলেন। ষাট-সত্তরের দশকে তো ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন লতাজি, কিন্তু কেন কোনোদিন পাকিস্তানে ওঁর কোনও গান রেকর্ড হল না? পাকিস্তানের মানুষের প্রতি আমার এক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ নেই। ওঁরা লতা মঙ্গেশকরকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন।” এই মন্তব্যের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আরও একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রবীণ গীতিকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.