ইস্টার উপলক্ষে চার্চে প্রার্থনা নয়! এলন মাস্কের মায়ের সঙ্গে সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিলেন জ্যাকলিন

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য মাকে হারিয়েছেন। দিন পনেরো আগেই সেই দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। বছর খানেক ধরেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের জল্পনা নিয়ে আইনি জটিলতাতেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। উপরন্তু মাকে হারানোর বেদনা। ব্যক্তিগতজীবনে এত ঝড়ঝাপটার মাঝেও থেমে থাকেননি জ্যাকলিন। সোমবার অভিনেত্রীকে দেখা গেল সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিতে। আর যাঁর সঙ্গে পুজো দিলেন, সেই সুবাদে জ্যাকলিন আপাতত চর্চার শিরোনামে।

জ্যাকলিনকে এদিন দেখা গেল এলন মাস্কের মা মায়ে মাস্কের সঙ্গে। যিনি নিজেও খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ, সুপারমডেল তথা লেখিকা বলে পরিচিত। মায়ে মাস্ক সম্প্রতি ভারতে পা রেখেছেন তাঁর লেখা ‘আ ওম্যান মেকস আ প্ল্যান’ বইটির প্রচারের জন্য। তার মাঝেই গত ১৯ এপ্রিল, ভারতে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এলন মাস্কের মা। এবার জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে সঙ্গী করে সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিলেন অভিনেত্রী। জ্যাকলিন প্রতিবার ইস্টার উপলক্ষে চার্চে প্রার্থনা করেন। দিনভর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তবে এবারের ইস্টার তাঁর জন্য আলাদা। কারণ এবার মা নেই। আর ইস্টারের আবহেই ঘোমটা মাথায় সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। কেমন অনুভূতি? সেকথা জানিয়েছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ।

মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়েই ফটোশিকারিদের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমার ভীষণ প্রিয় বন্ধু মায়ে মাস্ক আপাতত ভারতে রয়েছেন ওঁর বইয়ের প্রচারের জন্য। আর ওঁর সঙ্গেই সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা হল।” এলনের মা মায়ে মাস্কের বইয়েরও ভূয়সী প্রশংসা করে অভিনেত্রীর সংযোজন, “ওঁর বইটি নারীদের স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক। আমি নিজেও অনেক কিছু শিখেছি ওঁর কাছ থেকে। নিজের স্বপ্নপূরণ কিংবা লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য বয়স যে একটা সংখ্যামাত্র, সেটাও শিখেছি।”