সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’হাতে শিশুর ছোট্ট দেহটি তুলে ধরেছেন এক ব্যক্তি। একের পর এক ক্যামেরা তাক করে রয়েছে সেই দিকে। ক্ষমতার রক্তাক্ত চেহারা ফ্রেমবন্দি করার জন্য। এমনই দৃশ্য নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। “এ কোন নরক এই পৃথিবীতে!” লিখলেন তারকা।
আন্তর্জাতিক মঞ্চের আহ্বান সত্ত্বেও লড়াই থামাচ্ছে না ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন (Israel Palestine)। দুই পক্ষের লড়াইয়ে শয়ে শয়ে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। বাদ যাচ্ছে না ছোট ছোট শিশুরাও। কেউ স্বজন হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, কারও চোখের সামনে শুধু ধ্বংসস্তূপ। এমনই এক দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করে জয়া লেখেন, “নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি মনে হয়। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাক খাওয়া আগুন। আর সারি বাঁধা তরতাজা লাশ। একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর। যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। নিজের জীবন বাঁচাতে নয়। ধংসস্তুপের ঝাঁঝরা ইঁট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো–বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়। একটি শিশুকে উদ্ধার করা হলো, ওর পুরো পরিবার পাঁচ মিনিট আগেও মমতায় ঘিরে রেখেছিল ওকে। পৃথিবীতে এখন সে একেবারে একা। ছোট্ট একট খুকি। এখনই তার পরিবার নেই, দেশ তো ছিলই না।”
এরপরেই আবার মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়ে জানান নিহতদের চার ভাগের এক ভাগই নাকি শিশু। তারপরই আবার অভিনেত্রী লেখেন, “এ কোন নরক এই পৃথিবীতে! তাদের অসহায়তা আর হাহাকারে কণ্ঠ বুজে আসে। এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক চিলতে ঘরে ফিরুক। এক জীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.