সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক সন্দীপ চৌধুরীর মৃত্যুটা কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না অভিনেতা জিতু কমল। পরিচালক সন্দীপের ‘এরাও শত্রু’ ও ‘বিদ্রোহিনী’ ছবির নায়ক ছিলেন তিনি। বহু কাছ থেকে মানুষটিকে দেখেছেন। কীভাবে শুটিং ফ্লোরে কাজের ফাঁকে নানা কথায় মেতে উঠতেন সন্দীপ তা বার বারই যেন মনে পড়ে যাচ্ছে জিতুর।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জিতু জানালেন, সন্দীপদাকে আমি চিনি রাঙিয়ে দিয়ে যাও ধারাবাহিক থেকে। এই ধারাবাহিকের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন সন্দীপদা। অসাধারণ মনের একজন মানুষ। কাজ করার সময় যদি মতের অমিল হত, তাহলে কাজ শেষে বুঝিয়ে বলার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। এই ধরনের মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই কমই রয়েছেন। এরকম একটা মানুষকে হারিয়ে আমি শোকস্তব্ধ।
জিতুর কথায়,’হাই কোলেস্টেরল ছিল বাবুদার (পরিচালক সন্দীপ)। খুবই খাদ্য রসিক ছিলেন তিনি। কখনও চিপস খাচ্ছেন, কখনও বাদাম খাচ্ছেন। হয়তো এই কোলেস্টেরল এবং খাদ্য রসিক হওয়াটা মৃত্যুর কারণ হয়ে গেল। সত্যিই খুব ভাল মানুষ হারালাম।’
মঙ্গলবার যেন বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের কালো দিন। ভোরেই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর আবার জনপ্রিয় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে তথা টলিউড পরিচালক সন্দীপ চৌধুরীর প্রয়াণের খবর জানা যায়।
‘গুরুদক্ষিণা’, ‘বড় বউ’, ‘ছোট বউ’, ‘নবাব’, ‘লোফার’-এর মতো সিনেমার মাধ্যমে বাংলা সিনেমার দর্শকদের মন জয় করেছিলেন অঞ্জন চৌধুরী। বাবার পথ অনুসরণ করেই পরিচালনার জগতে আসেন সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। ‘এরাও শত্রু’র মতো মেগা সিরিয়ালের পরিচালনা করেছিলেন পরিচালক সন্দীপ। এছাড়াও, ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকের সৃজনশীল পরিচালকও ছিলেন। এছাড়াও ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকের সংলাপের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে সিরিয়ালের সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপ চৌধুরী। ৪৪ বছরের পরিচালককে ইকবালপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার পরিচালকের প্রয়াণের খবর জানা যায়। প্রাথমিক কারণে মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.