সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিয়া খানের মৃত্যু মামলাকে তাঁর মা রাবিয়া খানই নষ্ট করে দিয়েছেন। শোনা গিয়েছে, রায় দেওয়ার সময় এমনটাই বলেছেন সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টের বিচারপতি। রাবিয়া খানের একাধিকবার বয়ান বদল, সিবিআইয়ের কোর্টের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার জন্যই তাঁর পক্ষের যুক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
২৫ বছরের জিয়ার দেহ জুহুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ জুন। ঘটনায় জিয়ার মা রাবিয়া খান মুম্বইয়ের আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সূরজের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই। যদিও জামিনে ছাড়া পান সূরজ, এর পর তদন্ত গড়িয়েছে ১০ বছর ধরে। এর মাঝে জিয়ার মা নানারকম চেষ্টা করে গিয়েছেন যাতে সূরজ শাস্তি পায়। কিন্তু সফল তিনি হননি।
এরই মাঝে আবার সলমন খানের হাত ধরে বলিউডে পা-ও রাখেন সূরজ পাঞ্চোলি। শুক্রবার তাঁকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেয় সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল কোর্ট। এই রায় দেওয়ার সময় নাকি বিচারপতি জানান, জিয়ার মা একাধিকবার বয়ান বদল করেছেন। কখনও আত্মহত্যার অভিযোগে সরব হয়েছে, কখনও আবার খুনে অভিযোগ এনেছেন।
আদালত জানায়, জিয়ার সঙ্গে সূরজের মনোমালিন্যের প্রমাণ রাবিয়া সেভাবে দেখাতে পারেননি। এমনকী, জিয়ার যে স্যুইসাইড নোট প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছিল, তা অভিনেত্রীরই লেখা কিনা সন্দেহ রয়েছে। সেই নোটটিও নাকি রাবিয়াই পেয়েছিলেন। প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমে তিনি আদালত ও তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে বিষয়টিকে আরও জটিল করে দিয়েছেন। শুক্রবার সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টের রায়ের পরই রাবিয়া বলেছিলেন, “জিয়া ন্যায় পাবেই। আমি এত তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেব না। আরও লড়ব। প্রয়োজনে হাই কোর্ট যাব, সুপ্রিম কোর্ট যাব। আমি লড়েই যাব।” এদিকে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েই মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে গিয়েছিলেন সূরজ। সেখানে পুজো দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.