সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের সাড়ে তিন মাস পার। মাস তিনেক আগেও যে শহর উত্তাল হয়েছিল। প্রতিবাদী সুর পৌঁছে গিয়েছিল আট থেকে আশির কণ্ঠে। শহর কলকাতার এহেন প্রতিবাদী মুখ গোটা বিশ্বে যেভাবে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল, সেই শহর কি এখন অন্ধ হতে বসেছে? ফেসবুক পোস্টে একরাশ আক্ষেপ উগরে দিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukherjee)।
আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কলকাতার সর্বত্র আন্দোলনের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। যার আঁচ ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশের রাজধানী অবধি। শহরের রাজপথ থেকে রাস্তার মোড়, পাড়ার ঠেক পর্যন্ত ফুঁসে উঠেছিল আর জি কর আন্দোলনের প্রতিবাদে। কালের নিয়মে দুর্গাপুজো, কালীপুজো এসেছে। সেইসময়েও ‘উৎসবে ফেরা’ নিয়ে কর্ম চর্চা হয়নি! তবে ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’র কথা মাথায় রেখে নমো নমো করেই এবার পুজো সেরেছে বাংলা। এসবের মাঝে ব্যস্তজীবনে ফিরে কি কলকাতা ভুলে গেল আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের কথা? কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে আক্ষেপের সুর।
ফেসবুক পোস্টে খানিক হতাশার সুরেই পরিচালক লিখেছেন, ‘আর্থিক বিপর্যয় মানেই : আয় কম। সামাজিক বিভাজন মানেই: আস্থা কম। তাই, মদ বেচো, ম্যাসাজ বেচো, লটারি বেচো, ককটেল-পার্টি বেচো, জ্যোতিষ বেচো, রাজনৈতিক বা পরকীয়ার কেচ্ছা বেচো, ধর্ম বেচো, সাজগোজ বেচো, বিনোদন বেচো, খেলাধুলো বেচো, গ্যাজেট বেচো, খেলনা বেচো আর ভয় বেচো। আসলে পালিয়ে যাবার রাস্তা বেচো। তারপর সুযোগ পেলে নিজেকেই বেচে দাও। চোখ কান রাখলেই এগুলো দেখতে পাবেন।’ এরপরই পোস্টের শেষ পাতে কড়া স্বরে কমলেশ্বর মনে করিয়ে দিলেন আর জি কর নির্যাতিতার কথা। তাঁর মন্তব্য, ‘চোখ কান খোলা নেই। তাই তিলোত্তমার শব আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাবা মা’র কান্না শুনতে পাচ্ছেন না। অনুভব করতে পারছেন না- বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।’ আন্দোলনের মোড় ঘোরা নিয়েও নানামহলে নানা মত শোনা গিয়েছে এযাবৎকাল। কালের নিয়মে সবটাই কি বর্তমানে স্তিমিত? বিচার অধরা থাকার কথা মনে করিয়ে আবারও মানুষের বিবেককে প্রশ্ন ছুঁড়লেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.