সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনের অপব্যবহার করছেন কঙ্গনা রানাউত, দাবি তুলল BMC। বৃহন্মুম্বই পুরসভার (BMC) কাছ থেকে বাংলো ভাঙার ক্ষতিপূরণস্বরূপ ২ কোটি টাকা চেয়ে বম্বে হাই কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। এবার কঙ্গনার ক্ষতিপূরণের পালটা হিসেবে বম্বে হাই কোর্টে নয়া রিপোর্ট পেশ করল বিএমসি। তাদের দাবি, কঙ্গনার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হোক।
কঙ্গনার ২ কোটি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে পিটিশন আদতে আইনের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর তাই এই ক্ষতিপূরণের আরজি খারিজ দেওয়াই উচিত। শুক্রবার আদালতে এমন অভিযোগই জানানো হয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে। উল্লেখ্য, এর আগে বম্বে হাই কোর্ট কঙ্গনার বাংলোর ভাঙার কাজ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অবধি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বিএমসিকে। তবে অভিনেত্রীর ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন।
মুম্বই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ তুলেদিন দুয়েক আগেই দু’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর অভিযোগ, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৩৫ মিনিটে ওই বাংলো ভাঙার নোটিস ঝোলানো হয়েছিল। তার আগেই পুলিশ ও পুরকর্মীরা বুলডোজার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। অর্থাৎ আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। পালি হিলসে কঙ্গনার বাংলোর ৪০ শতাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়বাতি, বহুমূল্য আসবাব-সহ প্রচুর শিল্পকর্মও নষ্ট করা হয়েছে বলে বম্বে হাই কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছিলেন কঙ্গনা। এবার তার প্রেক্ষিতেই বম্বে আদালতে রিপোর্ট পেশ করে অভিনেত্রীর ক্ষতিপূরণের আবেদন খারিজ করার আরজি জানানো হল।
প্রসঙ্গত, বান্দ্রার পালি হিলসে ৫ নম্বর বাংলোতে কঙ্গনার অফিস ‘মণিকর্ণিকা ফিল্মস’। অবৈধভাবে এই বাংলো তৈরি করার অভিযোগ তুলে গত ৭ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীকে নোটিস ধরায় বিএমসি। নোটিসে বলা হয়েছিল যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ভেঙে দেওয়া হবে কঙ্গনার অফিস। করাও হয়েছিল তাই। অভিনেত্রী মুম্বইতে পা রাখার আগেই বাংলো ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে বিতর্কও কম হয়নি। বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনৈতিক মহল উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.