সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “দীপিকা তো JNU-তে এসে মোটাভাই, মোদিজি’র নাম নেননি। কিংবা সরকারের পক্ষে বিপক্ষে কোনওরকম মন্তব্যই করেননি। তাহলে কেন বিজেপির তরফ থেকে দীপিকার ছবি ছপাক বয়কট করার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি ওরাই জেএনইউ-তে হামলা চালিয়েছে?” দীপিকার জেএনইউ যাত্রা নিয়ে চলতি বিতর্কের মাঝেই প্রশ্ন ছুঁড়লেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। বিজেপির ‘ছপাক’ বয়কট বিতর্ককেই ফের উসকে দিলেন কানহাইয়া।
“দীপিকা তো এখানে এসে একটা কথাও বলেননি। উনি শুধু এসেছেন এবং আক্রান্ত পড়ুয়াদের দেখে নিজের মতো বেরিয়ে গিয়েছেন। অমিত শাহ’র ছেলে কীভাবে BCCI এর সেক্রেটারি হয়ে গিয়েছেন, তা নিয়েও তো প্রশ্ন তোলেননি। দীপিকা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের কারওর নাম না নেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর ছবি বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে?” প্রশ্ন তোলেন কানহাইয়া কুমার। এমনকী তিনি এও বলেন যে, “তাহলে কি দীপিকা-বিরোধী মন্তব্য করে ওনারা নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে সরকারের সমর্থকরাই JNU-তে হামলা করেছে?”
“প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে প্রচার করলেই দেশপ্রেমিক আর আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি দেশদ্রোহী?” এমন মন্তব্যেই মোদিকে বিঁধলেন জেএনইউ-এর প্রাক্তনী তথা ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বলিউড অভিনেত্রীর জেএনএই ক্যাম্পাসে পা রাখা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে। নেটিজেনরাও দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোয় কিছু লোকজন আবার বলতে শুরু করেছেন, “বিবেকানন্দের মূর্তি যখন ভেঙে ফেলা হয়, সেই সময় দীপিকা কোথায় ছিলেন?” “দীপিকা JNU-তে গুন্ডাদের সমর্থন করে আদপে আফজল গুরুকেও সমর্থন করছেন দীপিকা”, এহেন নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে।
যার দরুন JNU-তে পা রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি নেতা তেজিন্দর পাল সিং বগ্গা দীপিকা পাড়ুকোনের সব ছবি বয়কটের ডাক দিয়ে ফেলেছেন। টুইটারেও ট্রেন্ড হয়েছে দীপিকার ছবিকে বয়কটের হ্যাশট্যাগ। কিন্তু দীপিকার সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন। নিজে টিকিট কেটে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন ‘ছপাক’ দেখার জন্য। এবং মধ্যপ্রদেশেও ‘ছপাক’কে করমুক্ত করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কং নেতা কমল নাথ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.