সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেক আগেই ‘আদিপুরুষ’ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কৃতী স্যানন। তবে জাতীয় পুরস্কারেই সেই ‘শাপমোচন’! ২০১৪ সালে ‘হিরোপন্তি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন কৃতী স্যানন। আর ৯ বছর যেতে না যেতেই জাতীয়স্তরে সেরার সেরা নির্বাচিত হলেন, তাও আবার বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকাদের টেক্কা দিয়ে সেরার শিরোপা ভাগ করে নিলেন আলিয়া ভাটের সঙ্গে। ‘মিমি’ ছবিতে কুমারী মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন কৃতী, কোভিডকালে সেই সিনেমা ওটিটিতে মুক্তি পেলেও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবার ‘মিমি’ই তাঁর কাছে এনে দিল জাতীয় পুরস্কার।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েই শনিবার সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে ছুটলেন কৃতী স্যানন। সপরিবারের ভক্তি ভরে পুজো দিলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, মন্দির চত্বরে বসে থাকা ভিক্ষুকদের প্রসাদও বিতরণ করলেন কৃতী। পুরস্কার পেয়ে অভিনেত্রী আপাতত সপ্তম স্বর্গে।
কৃতীর মন্তব্য, “আমি খুব খুব উচ্ছ্বসিত। ভীষণ আবেগপ্রবণও। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না এখনও যে কী ঘটেছে! এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। বারবার নিজেকে চিমটি কাটছি। এটা আমার জন্য তো বটেই, আমার পুরো পরিবারের জন্যও একটি বড় মুহূর্ত। আসলে, মিমি আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল একটা ছবি। আর জুড়ি সদস্যরা যে এই ছবিতে আমার পারফরম্যান্স দেখে আমাকে জাতীয় পুরস্কারের যোগ্য বলে মনে করেছেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।”
View this post on Instagram
এরপরই কৃতীর মন্তব্য, “কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি বাকরুদ্ধ। আমি অভিভূত। আমি শুধু দীনেশ বিজনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যিনি আসলে সবসময় আমার পাশে থেকেছেন, আর আমার ওপর আস্থা রেখে মিমির মতো একটা সিনেমায় সুযোগ দিয়েছেন। আর হ্যাঁ, শুটিং করার সময়েই পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকর স্যার আমাকে বলতেন, ‘মিমি’ দেখো এই ছবিতে তোমার পারফরম্যান্সের জন্য জাতীয় পুরস্কার পাবে। তবে আমার বিশ্বাস হত না। কারণ আমি সবসময় ভেবেছিলাম এটা অনেক বড় স্বপ্ন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.