সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠুন চক্রবর্তী গেরুয়া শিবিরের বলেই তাঁর ও দেবের ছবি ‘প্রজাপতি’ নন্দনে ব্রাত্য। এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
“মিঠুনদাকে ফিল্ম ফেস্টিবেলে ডাকা হয়নি। কারণ তিনি এখন তৃণমূলে নন বিজেপি করেন। একই ভাবে দেবকে জোর করে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল। ও দাঁড়াতে চায়নি। ওর ব্যবসা বন্ধ করে ওকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল না করলে চাকরি পাবেন না, সিনেমায় সুযোগ পাবেন না, হল পাবেন না সিনেমা রিলিজের। নন্দন ফুর্তির জায়গা নয়। দেবের দোষ ও মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছে। এতো ছোট মন কেন আপনার?” ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙ্গার গোলপার্কে একটি অনুষ্ঠানে একথাই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির শীর্ষ নেতাকে জবাব দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি করতে এসেই তৃণমূল-বিজেপি, বিজেপি-সিপিএম এসব দেখছেন। এর বাইরেও যে একটা সমাজ আছে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি আছে। তাঁদের নিজস্ব কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে। এগুলো তো দিলীপবাবু জানেন না! দিলীপবাবু শুধু জানেন গোয়াল, সেই গোয়ালের গরুর দুধ থেকে সোনা। কী করব? “
নন্দনে প্রজাপতি শো না পাওয়া নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন কুণাল ঘোষ। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “নন্দন নিয়ে সমস্যাটা নতুন নয়। নন্দনে সবাই বই রিলিজ করতে চান। তার আগের কিছু সমস্যা থাকে তাদের কিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস থাকে সেটা যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন সবাই জানেন। তার সঙ্গে তৃণমূল, বিজেপির কোথাও কোনও সম্পর্ক নেই। দেব এই ইন্ডাস্ট্রির এতদিনের সিনিয়র। জিজ্ঞাসা করে নাও। বাছাই কিছু হল থাকে। কেউ চাইবে নন্দনে রিলিজ করাতে, কেউ চাইবে প্রিয়া রিলিজ করাতে। সবসময় সবটা হয়ে ওঠে না। যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে একটু খবরাখবর রাখেন, তাঁরা জানেন আর এই বিতর্কগুলো অনেক সময় সিনেমাকে কৌতূহলের কেন্দ্রে আনতে সাহায্য করে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.