গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: অত্যন্ত সংকটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। চেতনাস্তর পাঁচে নেমে এসেছে। এই স্তর তিন পর্যন্ত নেমে গেলেই ব্রেন ডেথ হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। দীপাবলির ঠিক আগেরদিনই বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এই খবর জানালেন ডা. অরিন্দম কর।
বুধবার বর্ষীয়ান অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই আবার তাঁর প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস (Plasmapheresis) সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিল প্লাজমাফেরেসিসের পর অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হল না। ডা. কর জানান, এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যারের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। আচমকা তা কেন নেমে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। অভিনেতার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। কিডনির অবস্থাও ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। EEG ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও অস্বাভাবিকতার লক্ষণ দেখা যায়নি।
ডা. অরিন্দম করের কথায়, চিকিৎসক টিমের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট পসিবল এফোর্ট’ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা অভিনেতার শারীরিক অবস্থা কেন এতটা খারাপ হয়ে গেল, তা বোঝা যাচ্ছে না। যতদিন ধরে হাসপাতালে কিংবদন্তি অভিনেতা ভরতি রয়েছেন শুক্রবার তাঁর পক্ষে সবচেয়ে খারাপ দিন। এখন অলৌকিক কিছু ঘটার আশায় রয়েছেন চিকিৎসকরাও। প্রবাদপ্রতীম শিল্পী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই লড়াইয়ের জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়ে ডা. কর বলেন, “আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা বোধহয় ওনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য যথেষ্ট ছিল না।”
৬ অক্টোবর করোনা (CoronaVirus) আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। তারপর থেকেই প্রায় অচেতন অবস্থাতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। মাঝের কয়েকদিন চোখ মেলে সাড়া দিচ্ছিলেন। মিউজিক থেরাপিও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু আচমকা ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি অনুরাগীদের চিন্তা বাড়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.