সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারী আবহেও কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের শেষ নেই। এর বিরুদ্ধেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হলেন লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। “গান বেচে খাই, শুনতে খারাপ লাগলেও, এটাই সত্যি”, ফেসবুকে লিখলেন সংগীতশিল্পী।
গানের পাশাপাশি ‘প্রথা’ নামের একটি বস্ত্র ও অলঙ্কারের বিপণিও রয়েছে লোপামুদ্রা মিত্রর। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি সেই বিপণি সংক্রান্ত একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন তিনি। তাতেই ট্রোল হতে হয় সংগীতশিল্পীকে। এর জবাবে ফেসবুকে লোপামুদ্রা লিখেছেন, “গান গাই, গান বেচে খাই।
শুনতে খারাপ লাগলেও, এটাই সত্যি। আমাদের দিনযাপনে কোন স্বপ্ন নেই। শুধু ঈশ্বরের বিশেষ কৃপায় আপনি আমাকে চেনেন, নামে জানেন, ছবিতে চেনেন, কণ্ঠস্বর চেনেন।”
নিজের দীর্ঘ পোস্টে লোপামুদ্রা জানিয়েছেন, কপালে শিকে ছিঁড়লে তবেই গান গাওয়াকে পেশা করা যায়। খাবার জোগানের জন্যই গান গাইতে হয়। তাঁর সঙ্গে আরও ১০-১২টি পরিবারের রোজগারও জড়িয়ে রয়েছে। কেউ যন্ত্রশিল্পী, কেউ মাইক বাজান, কেউবা আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকেন। প্রত্যেকেই পরিশ্রম করে সাধারণ মানুষের মতোই খাবার জোগাড় করেন বলে জানান সংগীতশিল্পী।
“আমাদেরও মন আছে। আমাদেরও শখ আছে। আমাদেরও সংগ্রাম আছে। হ্যাঁ, এটাও সত্যি, ঈশ্বর সকলকে দেন না। কী করব, বলুন? যা পেয়েছি, তা ঈশ্বরের দান।” লেখেন লোপামুদ্রা। এরপরই আবার জানান, নাম যশ কেনা যায় না। লোপামুদ্রার কথায়, এ সবই ঈশ্বরের দান। “আপনি ওপরের আলো দেখছেন, যেটা ঈশ্বর প্রদত্ত। আলোর ভিতরের মানুষ আর আপনি এক রক্ত মাংসের মানুষ। তাই আঘাত করলে দু’বার ভাবুন। একটু ভাবুন।” লেখেন সংগীতশিল্পী। সবশেষে জানান, আরও অনেক কথা বলার রয়েছে তাঁর। যত আঘাত, পাবেন ততই জোরাল কণ্ঠে সোচ্চার হবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.