চারুবাক: ১৯৮৯ সাল থেকে সিনেমা তৈরি করে চলেছে হরনাথ চক্রবর্তী। পরিচালকের ঝুলিতে হিটের সংখ্যা কম নয়। মাঝে এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ‘ওহ! লাভলি’ (Oh! Lovely) ছবিতে যেন আবার নিজের ছন্দে ফিরে এলেন। ‘ওহ! লাভলি’ শব্দবন্ধটির কপিরাইট যে রঙিন মানুষটির তিনি মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁকেই ক্যামেরার সামনে নিয়ে এসেছেন পরিচালক।
বোলপুরের প্রতিষ্ঠিত চাল ব্যবসায়ীর (খরাজ মুখোপাধ্যায়) ছোট ছেলে সন্তু (ঋক) পারিবারিক পেশায় যেতে অনিচ্ছুক। তাঁর নজর চাকরি করার দিকে। সুতরাং মায়ের (লাবনী সরকার) প্রশ্রয়ে সে কলকাতায় যায় চাকরির সন্ধানে। আলাপ হয় সুন্দরী অনাথ বেকার তরুণী নিধির (রাজনন্দিনী পাল) সঙ্গে। সেও খুঁজছে চাকরি। প্রেম হতে সময় লাগে না। দু’জনে ঠিক করে রেজিস্ট্রি করবে। নিধির একমাত্র শর্ত বিয়ের সময় ঋকের পুরো পরিবারকে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু ঋক তো ভয়ে বাড়িতে বলতে পারেনি। অভিমান করে ঋককে ছেড়ে যায় নিধি।
ভাঙা মন নিয়ে বাড়ি ফেরে ঋক। জানতে পারে তার দাদার বিয়ে হয়েছে ধনী ব্যবসায়ীর (মদন মিত্র) মেয়ের সঙ্গে। আর সেই মেয়ে নিকি। ব্যাপার কী? তা সিনেমা হলে গিয়েই জানতে পারবেন। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর এ ছবিতে একাধিক নাটকীয় মোড় রয়েছে। নেতা মদন মিত্রকে (Madan Mitra) ছাপিয়ে অভিনেতা মদন মিত্রকে দেখা গিয়েছে। প্রথম ছবিতে নায়ক হিসেবে উতরে গিয়েছেন ঋক। রাজনন্দিনী শুধু সুন্দরী নন, অভিনয়েও স্মার্ট।
খরাজ এবং লাবণী – নিজেদের অভিনয়ে নাটক ও কমেডির মিশেল বাণিজ্যিক ধারা মেনেই একটু ‘অতি’র পর্যায়ে। হরনাথ তাঁর পূর্বসুরী অঞ্জন চৌধুরীর ঘরানাকেই বজায় রেখেছেন। শুভঙ্কর-শুভমের সুরে তৈরি তিনটি গান কানে ভাল লাগে। সবশেষে বলা যায়, হালকা মেজাজের এক মজার ছবি ‘ওহ! লাভলি’।
ছবি – ওহ! লাভলি
অভিনয়ে – মদন মিত্র, ঋক, রাজনন্দিনী পাল, খরাজ মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার প্রমুখ
পরিচালনায় – হরনাথ চক্রবর্তী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.