কলহার মুখোপাধ্যায়: “ইতনা মচ্ছর, গানা গাঁয়ু ক্যায়সে।” (প্রচুর মশা, গান গাইব কীভাবে)। মুখের সামনে ভনভন করতে থাকা মশা তাড়িয়ে একবার নয়, পরপর তিনবার একই উক্তি বলিউডের নামী সংগীতশিল্পী সোনু নিগম। ঘটনাস্থল সল্টলেক।
বৃহস্পতিবার সেক্টর ওয়ানে বলিউডি গায়কদের নিয়ে জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সল্টলেকের একটি নামী ক্লাব। সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী এক নেতার পুজো বলেই সেটি মানুষ জানেন। ব্লকের ভিতর মাঠের মধ্যে এই জলসার আয়োজন হয়েছিল। গাইতে এসেছিলেন গায়ক সোনু নিগম। কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত এই জলসা ঘিরে মানুষের আগ্রহও ছিল তুঙ্গে। প্রতিবছরই তা থাকে। কিন্তু এবার গানের তাল কাটল মশার ভনভনানিতে। গান গাইতে গিয়ে বিরক্ত সোনু বললেন, “গান গাইব কী করে! মশা আর পোকামাকড় তো মুখের ভিতর ঢুকে পড়ছে!” জলসায় হাজির এক শ্রোতা বলছেন, ‘‘কয়েকদিন ধরেই এই এলাকায় মশা খুব বেড়েছে। মশার গান শিল্পীর গানকেও ছাপিয়ে যাচ্ছিল।’’
তবে শেষমেশ মশা তাড়ানো গিয়েছে। দুটি প্রমাণ মাপের স্ট্যান্ড ফ্যান ফুল স্পিডে চালিয়ে মশা উড়িয়ে জলসা পুনরায় শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে পারস্পরিক চাপানউতোর। উদ্যোক্তাদের তরফে বিধাননগর পুরনিগমের গাফিলতির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। আর পুরনিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মশা দমনের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না। তবে তর্ক এখানেই শেষ হয়নি।
সল্টলেক–সহ বিধাননগরের নাগরিকরা এই ইস্যুর প্রসঙ্গ টেনে মশা নিধনে গাফিলতি ও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার জন্য পুরনিগমের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলছেন। সেক্টর ওয়ানের বাসিন্দাদের বক্তব্য, বলিউডি গায়কের মশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের ঘটনায় সারা দেশের কাছে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে বিধাননগরের। তবে গোটা সল্টলেকে মশা যে বেড়েছে তা প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.