ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিঘি জামাত নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। যাঁদের মধ্যে সিংহভাগের শরীরেই থাবা বসিয়েছে COVID-19। যার জেরে আরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমায়েতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ধর্ম প্রচারকদের বিরুদ্ধেও। সেই নিজামুদ্দিন কাণ্ড নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে, সাংসদ নুসরত জাহান নিজামুদ্দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “কিছু মানুষের কারণে লক্ষ লক্ষ দেশবাসী বিপদের মুখে পড়েছেন। এটা তো দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের চেয়েও বেশি দায়ী সেসব মানুষেরাই। যাঁরা লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন।” পাশাপাশি সাংসদ আরজি জানিয়ে বলেন, “শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তা লুকিয়ে রাখবেন না দয়া করে। করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো দরকার।”
এহেন সংকটকালে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদি কিংবা মেরুকরণের রাজনীতিতে না গিয়ে সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করার আরজি জানিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। তিনি বলেন, “ধর্ম বা জাতি দেখে মানুষের শরীরে রোগ থাবা বসায় না। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। আগে মানুষের প্রাণ।” বরাবরই অবশ্য ধর্মের রক্তচক্ষুকে পাত্তা না দিয়ে সোজাসাপটা কথা বলে এসেছেন নুসরত। এই লকডাউনে তিনিও গৃহবন্দি। সবাইকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি কখনও মাস্ক বিলি করেছেন তো আবার বাজার পরিদর্শনেও দিয়েছেন।
১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান চলে। এছাড়াও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিা, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। এই দায় কার? কেজরিওয়াল নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের? যার জেরে প্রতিদিন দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও, প্রশ্ন তুলেছেন দেশবাসীর একাংশ। কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা থেকে একাধিক মানুষ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। বাংলা থেকেও অনেকে গিয়েছিলেন। তাদের শরীরেও থাবা বসিয়েছে করোনা। কিছু জনকে কোয়ারেন্টাইন করেছে রাজ্য সরকার, খোঁজ চলছে বাকিদেরও।
এরই মধ্যে তবলিঘি জামাতের প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদ কান্ধালভির একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই অডিও ক্লিপে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মৌলানা। সেই অডিও বার্তায় কান্ধালভিকে বলতে শোনা গিয়েছে, “অনুগামীরা যেন মসজিদেই থাকে, আল্লাহ তাঁদের রক্ষা করবে।” এমতাবস্থায় ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসে ডুবে না থেকে হাত জোর করে মানুষদের উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নুসরত জাহান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.