সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ এপ্রিল আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তভার যায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। সলমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মোট চারজনকে। যার মধ্য়ে একজন জেলে আত্মাঘাতী হন। আর এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মুম্বইয়ের পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়েছে আগের ছক বানচাল হওয়ার পর লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল নতুন প্ল্যান করেছিল সলমনকে তাঁরই পানভেল ফার্ম হাউজে খুন করার। সেই পরিকল্পনার জন্যই পাকিস্তান থেকে অস্ত্র এনেছিল বিষ্ণোই গ্যাং।
প্রসঙ্গত, ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসেই আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পয়লা মে এই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। হাজতেই অনুজ থাপনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, গারদের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছে অভিযুক্ত। যদিও তাঁর পরিবার এই কথা মানতে নারাজ। এই ঘটনার পর এবারে পঞ্চম অভিযুক্ত মহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হল। অভিযোগ, সলমনের গ্যালাক্সিতে হামলা করা ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে সাহায্য করেছিল সে।
প্রসঙ্গত, সলমনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বারবার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে আসছে। ভিকি-সাগরও নাকি এই গ্যাংস্টারের দলেরই সদস্য।কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.